পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ وو ] বৃক্ষরূপে পরিণত হইয়া ক্রমে ক্ষুদ্র জীব হইতে বড় বড় জীব হইয়াছে ইহা ও কেহ কেহ বলিতে সাহসী হন। স্বাভাবিক নিয়মে এরূপ হওয়া আশ্চর্য্যের বিষয়। তবে সৰ্ব্বশক্তিময় পরমেশ্বরকে মানিয়া স্ব স্ব কৰ্ম্মানুসারে সকল জীব উৎপন্ন হয়, ইহা বলিলে আর কোন গোল থাকে না। উৎপন্ন সন্তানের মধ্যে পিতামাতার বৈদ্যাতিক শক্তিবিশিষ্ট তেজের অংশ আছে এবং উহা বাহিরের সৌরতেজঃ দ্বারা অনুপ্রাণিত। এই জন্য সন্তানের আকার, স্বভাব, বৃদ্ধি প্রায়ই পিতামাতার মত হইয়া থাকে । ইহার দ্বারা প্রতিপন্ন হইল যে পিতামাতার আংশিক অধ্যাত্মতেজঃ আর অধিদৈবত সৌরতেজ এই দুইটী মিলিত হইয়া সন্তানের মধ্যে বিরাজমান। আবার উক্ত সন্তানের যখন পরে যথাসময়ে সন্তান হয়, তখন সেই পৌত্রতে আদি পুরুষের এক চতুর্থাংশ তেজঃ সৌরতেজের সহিত থাকে ! এইরূপ সন্তান অনেক পুরুষ অথাৎ ১৪ পুরুষ দূরবত্তী হইলে তপন সেই চতুর্দশপুরুষ পরে সেই সন্তানে মূল আদি পুরুষের তেজঃ যৎসামান্ত থাকিতেও পারে। ইহা দ্বারা গিলটনের মতবাদ প্রমাণিত হইল। এবং Mutation theory জীব-বিজ্ঞানে নবজাতীয়ধারা উৎপাদন—মতবাদ অনুসারে নূতন species সজাতীয় ধারার উৎপত্তিও এই মতবাদদ্বারা প্রমাণিত হইতে পারে। কারণ, বংশধারা যত বেশী বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়ে এইরূপে পরে এমন সময় আসিতে পারে যখন আদি পুরুষের সহিত নাম ভিন্ন অর্থাৎ ‘অমুকের বংশীয় অমুক ইহার