&:S অতিরিক্ত আত্মিক সম্বন্ধ কিছুই থাকে না। তখন আবার নূতন species বা জাতীয়ধারার উৎপত্তি হয়। এই প্রাণালীকে ঠিক মিউটেসন ( নবজাতীয়ধারা উৎপাদনজনিত পরিবর্তন ) বলা যায় না। বস্তুতঃ ইহা ক্রমবিকাশেরই একরূপ উদাহরণ । তবে এই নূতন জাতীয় ধারার উৎপত্তি আমরা হঠাং উপলব্ধি করি বলিয়া ইহাকে মিউটেসন বলিলেও বিশেষ দোষ হইবে না। যাঙ্গ হউক আমাদের পূর্বপুরুষগণ পূর্বে ইহা বুঝিয়া আদি পুরুষের চতুর্দশ পুরুষের পর বিশেষ সম্বন্ধ থাকে না ইহা প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন। সুরার মদশক্তির মত জীবের চৈতন্য বা বোধশক্তি স্বভাবতঃ হয়, নাস্তিক জড়বাদীদিগের এই মত। আস্তিক শ্রদ্ধাশীল পাঠকগণ এই প্রবন্ধের উপনিষদ ভাগে ব্ৰহ্মশক্তির বিষয় পাঠ করিলেষ্ট জীবের চৈতন্যাদি বোধশক্তি-তত্ত্ব ভালরূপে উপলব্ধি করিতে পারিবেন। জীবন বিষয়ে যে গবেষণা লিখিত হইয়াছে তাহা সকল জাতি ও সকল ধৰ্ম্মাবলম্বী মানবদিগের বিশেষ প্রয়োজনীয়। তাই স্বধৰ্ম্মবিশ্বাসী সেশ্বরমতবাদী ভ্ৰাতৃকল্প মুসলমান ও খুষ্ঠানদিগের প্রতি আমার স্বাভাবিক শ্রদ্ধার জন্য বাইবেল ও কোরাণ পাঠ করিয়া দেখিলাম যে স্মৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ে এই উভয় ধৰ্ম্মপুস্তকের প্রায় একমত। আমাদের মতের সহিত এই দুইটী মতের অনেক স্থলেই সামঞ্জস্য আছে বলা যাইতে পারে। উপনিষদাদির মতে পরমেশ্বর স্বেচ্ছায় প্রকাশিত হইয়া তেজঃ, আলোক, জল, পুথিবী সূর্য্য চন্দ্রাদি সকল পদার্থ স্তজন করিলেন। বাইবেল ও কোরাণে প্রায় সেক্টরূপ লিখিত আছে । ঈশ্বর লেখনী সৃষ্টি
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।