[ १२ ] ঈশ্বরে বিশ্বাসীদিগের মধ্যে সকল ব্যক্তিই জীবন ও তৎসংশ্লিষ্ট ইন্দ্রিয়, মন, বোধশক্তি যে র্তাহার ইচ্ছানুসারে হইয়াছে ইহা সানন্দে স্বীকার করিবেন। তবে নাস্তিকদের স্বতন্ত্র কথা । উহাদের কিঞ্চিৎ মতবাদ এই প্রবন্ধে দিয়াছি। এক্ষণে নিরীশ্বরবাদী পালিগ্রন্থ হইতে সংগৃহীত বুদ্ধদেবের কথা লিখিত হইতেছে । বুদ্ধদেব তাহার ভক্ত শিষ্যদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিয়াছেন। “পৃথিবী শূন্যময় বলিতে এইটা বুঝিতে হইবে যে ইহাতে (এই পুথিবীতে ) আত্মা বা আত্মজাতীয় কোন পদার্থ নাই । ভাঙ্গ হইলে এ শূন্ত পদার্থ কি ? এ প্রশ্নের উত্তবে তিনি বলিয়াছেন যে পঞ্চ ইন্দ্রিয় ও পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের আধার এবং অনুভব শক্তিযুক্ত মন এই সমস্ত কেবল আছে । আত্মা বলিয়া কোন স্বতন্ত্র পদার্থ নাই । যখন আত্মার অস্তিত্ব নাই, তখন আমি ( অহম self ) চিরস্থায়ী, এই মতবাদটা কি একেবারেই মূখ বিজুম্ভিত অন্তঃসার শূন্য নহে ?” সমুত্তবিকার ৪৫৪ স্থত্তপিঠক ১৩৩৮ নিরীশ্বরবাদী বুদ্ধদেব নশ্বর দেবতা স্বীকার করিয়াছেন কিন্তু অবিনশ্বর আত্মা বা ঈশ্বরকে স্বীকার করেন নাই । তাহার মতে এই জগৎ স্বভাবতঃ সৃষ্ট হইয়াছে। তবে তিনি র্তাহার ভক্ত শিষ্যদিগকে অহিংসা পরোপকার প্রভৃতি পুণ্যকৰ্ম্ম করিতে সর্বদ উপদেশ দিয়াছেন । জড়বাদী নাস্তিকদিগের বা প্রকৃতিবাদীদের মতে স্বাভাবিক শক্তিতে দেহমধ্যে বাম্পাদির সংযোজক সাঙ্গসৌরতেজই জীবন। আবার আস্তিকদিগের মতে পরমব্রহ্ম পরমেশ্বরের ইচ্ছায় বা
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।