পাতা:জীবরহস্য.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবরহস্য। ৯৩ পরিবর্তনের পর তাহাদিগকে বহুদিন কীটের অবস্থায় থাকিতে হয় না, দুই তিন দিন পরেই তাহার অপিনাদিগের চরকি হইতে রেশম নির্গত করিয়৷ সেই রেশমে আপনার আবদ্ধ হয় । ডিম্বাকার কাষ্ঠের উপরিভাগে চতুষ্পাশ্বে স্থতা জড়াইয়। রাখিলে তাহার যেরূপ আকৃতি হয়, ঐ সময়ে তুতপোকাদিগের সেইরূপ আক্লতি হইয়া থাকে । সচরাচর উহাকে আমরা গুটিক কহিয়া থাকি । সেই গুটিকার আবরণীয় রেশম সকল সাতিশয় স্থঙ্ক, উহার মধ্যে র্তত পোকার। জড় পদা. থের ন্যায় হইয়া এক পক্ষ মাত্র স্থির তবে থাকে, পরে তাহা ছেদন করিয়া অত্যাশ্চর্য্য প্রজাপতির রূপ ধারণ করত সে স্থান হইতে প্রস্থান করে । ভূতপোকাদিগের গুটি হইতে রেশম প্রস্তুত করা যাহাদিগের ব্যবসায়, এদেশীয় লোকেরা তাহাদিগকে তুতে-কৈবৰ্ত্ত কহে । তুতে-ৰুৈবৰ্ত্তের পোনের দিনের পূৰ্ব্বেই গুটিকা স্থৰ্য্যোক্তাপে দিয়া অথবা অগ্নির তাপ লাগাইয়। তদভ্যস্তরস্থ জীবদিগের প্রাণ-সং হার করে । প্রাণ-সং হার করিয়া গুটিক সকল উষ্ণ জলে ফেলিয়। দেয়, তদ্বারা তাহারা ফলিয়া উঠে, ফুলিয়া উঠিলে যে সকল অপরিচ্ছন্ন অকিঞ্চিৎকর রেশম তাহার উপরিভাগে উঠে তাহা একটা কাষ্ঠ-দণ্ড দ্বারা জড়াইয়া রাখে । এইরূপে উপরিভাগের অপক্লষ্ট পট্ট সকল পৃথক-ক্লত হইলে, তাহারা অতি সুন্দর একটি নাটাইয়ের দ্বারা ভিতরকার উত্তম রেশম সকল গুটাইতে আরম্ভ করে । সচরাচর আমরা যেরূপ নাটাই দেখিতে পাই, ঐ নাটাই সেরূপ নহে, তাহার গঠন অতি আশ্চৰ্য্য,