পাতা:জীবরহস্য.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

为8“ জীবরহস্য । রেশম জড়াইবার নিমিত্ত তাহ বিশেষরূপে নিৰ্ম্মিত হইয়া থাকে । এক্ষণে পাঠকগণ বিবেচনা করিয়৷ দেখুন, মনুষ্যজাতি সুশোভন পট্টবস্ত্র পরিধান করিয়া লোকসমাজে আপনাদিগের যে দন্ত প্রকাশ করে, তাহা কেবল তুতপোক৷ নামক জঘন্য কীট হইতে উৎপন্ন হয় । তাহাদিগের মুখের অধঃস্থিত ছিদ্র হইতে যে আট। নির্গত হয়, সেই আটাতেই অতিমুন্দর মখমল ও রেশম প্রস্তুত হইয় থাকে । বহু মূল্য বস্ত্ৰ নুরাগি লোকেরা এ বিয়য়টি একবার অনুভব করুন, তাহা হইলে তাহাদিগের , বস্ত্র পরিধানের গৰ্ব্ব সকলই খৰ্ব্ব হইয়। যাইবে, লোকদেখান মুন্দর পরিচ্ছদের অভিমান তাহাদিগের আর থাকিবে না । বরং উত্তমরূপ বিবেচনা করিয়া দেখিলে উপহার উপলব্ধ করিতে পরিবেন, যে মানব জাতির প্রয়োজনীয় নহে জগদীশ্বর এমন কোন বস্তুই "সৃষ্টি করেন নাই, যাহা কিছু সৃষ্টি করিয়াছেন, সে সকলই মানবের মুখস চ্ছন্দ বৰ্দ্ধনার্থ হইয়াছে। যে কীটের কদৰ্য্যাকার দর্শনে আমাদিগের ঘৃণা হইয় থাকে, সেই কীট জগতের কল্যাণস্বরূপ, বাণিজ্যদ্রব্যের মধ্যে প্রধান দ্রব্য এবং ঐশ্বর্যের আম্পদ । আহা, এদেশীয় কৃতৰিৈিলাকেরা যদি এই ক্ষুদ্র ভূতপোকাদিগের দৃষ্টান্ত লইয়। স্বদেশের মঙ্গল সাধনে যত্নবান হন, তবে নাজানি দেশের কতই সৌভাগ্য হয় । তুতপোকার শরীর নিপাভন দ্বারা তদুপরিস্থ পট্ট হইতে যেমন জগতের ঐশ্বর্য বৃদ্ধি করে, ইহারাও তেমনি বিদ্যা এবং ঐশ্বর্যের দ্বার স্বদেশের কল্যাণ সাধন করুন তাহা হইলে মানব