পাতা:জীবরহস্য.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रृंग्ली ! २७ ফএক বৎসর হইল লণ্ডন নগরীয় জীবসংস্থানুসন্ধাfয়নী সভার উদ্যানে একটা হাপি বাজ আনীত হইয়ছিল । ঐ বাজ সৰ্ব্বদা মত্তগৰ্ব্বে গম্ভীর হইয়। থাকিস্ত ; কাহার প্রতি দৃকপাতও করিত না । অপর পিঞ্জরের বহির্দেশ হইতে কেহ তাহাকে বিরক্ত করিলে, সে জীস্বণরূপে কটমটিয় দৃষ্টিপাত করত এমত ভাব প্রকাশ করিত, যাহা দেখিলে স্পষ্টই বোধ হইত যেন সে এট মনে করিতেছে, যে “আমি যদি স্বাধীন থাকিস্তাম প্তাহ হইলে তোমার এ অাম্পাঙ্কার অনায়াসেই শান্তি করিভাম " ইহার স্থল-পদ ও প্রখর-মখ দৃষ্টিমাত্রেই স্পষ্ট বোধ হয় যে যে কোন দুর্ভাগ্য জীব উছার পদতলে পতিত হয় তাহীর আর ত্রাণ নাই । ফলতঃ বিড্রালাদি চতুষ্পদ পশু ঐ পিঞ্জর মধ্যে নিক্ষেপ করিলে তাহার ক্ষার নিশ্বাস প্রশ্বাসের অবকাশ ও থাকে না ; নিক্ষেপ করিব মাত্র ঐ পক্ষী তাহাকে পদদ্বারা এতক্রপে দাবন করে যে সে তৎক্ষণাৎ মরিয়া যায় । বীজ শব্দ এই পক্ষির প্রতি প্রয়োগ করা যুক্তিযুক্ত নহে; কারণ ইহ। বাজহইতে অনেক লক্ষণে পৃথকৃ; পরস্তু অন্যান্য পক্ষিহইতে বাজের সহিত ইহার নৈকট্যসম্বন্ধ থাকায়,–এবং বাজ শব্দদ্বারা পাঠকদিগের পক্ষে ইহার স্বভাব ও লক্ষণ অনায়াসে বোধগম্য হইবার সম্ভাবনায় -ঐ শক ইহুদিগের প্রতি প্রয়োগ করা গেল । ষখাখতঃ এই পক্ষিদিগকে এক স্বতন্ত্র শ্রেণীতে ভূক্ত করিয়া নির্ণয় কর কর্তব্য ; এবং এভদ্বিবেচনায় ইউরোপীয় প্রাণিতত্ত্বজ্ঞের “হাপি" নামে ইহাদিগের এক বিশেষ শ্রেণী নির্দিষ্ট করিয়াছেন ।