পাতা:জীবরহস্য.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পক্ষী ২ ৯ আছে ষে যে কেহ এই পক্ষ ধারণ করে তাহার সকল কৰ্ম্মে জয় হয় ; এই হেতু এ বস্তুর বিস্তর বাণিজ্য আছে, এবং অনেকে হোমার পক্ষ বিক্রয় করিয়া বহু ধনৌপাৰ্জ্জন করিয়াছে । প্রতিবৎসর পক্ষীরা এক এক বার পালক পরিত্যাগ করে, তাহাতে বৎসর ২ তাহাদিগের ভূতন পরিচ্ছদ হয়, শীতরষ্টিতে কিছুই করিতে পারেন। পালক পরিবর্তন ক’লে সচরাচর পক্ষীরা প্রায় দুৰ্ব্বল ক্ষীণ এবং দেখিত্তে কুৎসিত হয় । পক্ষী দিগের পাখাতে যে বড়হ পালক থাকে, ইংলণ্ডীয় লোকের ঐ পালকে লিখিবtয় কলম প্রস্তুত করে । কিন্তু নকল পক্ষীর বড়হ পালক থাকে না, যেসকল পক্ষীর পাখাতে কুইল অর্থাৎ বড়হ পালক নাই, তাহারা ভালরূপ উড়িতে পারেন, কারণ শূন্য মার্গে উড়িবার জন্য কুইলসুক্ত বড়হ পালক নিতান্ত আবশ্যক করে । উক্ট্রপক্ষী ও পাতি হাস এ বিষয়ের প্রধান দৃষ্টান্ত স্থল । প্রত্যেক জাতীয় পক্ষীদিগের এক এক প্রকার পৃথৰু স্বর থাকে, কতক জাতি অন্য জাতির শব্দ সহজে অনুকরণ করিতে পারে, বয়স্ক একটা পক্ষী বা পক্ষিণীর সঙ্গে যদি কতকগুলা ভিন্ন জাতি পক্ষীর শাবক রাখা যায়, তবে কতকগুলা শাবক ধাড়ীটার শব্দের ন্যায় প্রায় শব্দ করিয়া থাকে । আমেরিক দেশীয় ওয়ার বেশীর এবং বঙ্গদেশীয় শালিক পক্ষীদিগকে মনুষ্য জাতির ভিন্ন২ রবাচসারে এমনি স্পষ্ট করিয়া কথা কহিতে দেখাগিয়াছে, যে উহ নানব ধ্বনি কি পক্ষীর ধ্বনি