পাতা:জীবরহস্য.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

철 ¢ २ জীবরহস্য । অর্মদেশীয় কিঙ্গণ পক্ষীর ন্যায় ইউরোপ-খণ্ডে শরাইকশ-নামে এক প্রকার ফিঙ্গা আছে। ফিঙ্গার চঞ্চু এবং তাহাদিগের চঞ্চুতে বড় একটা প্রভেদ নাই, উহা ক্ষুদ্র ও বক্র এবং অগ্রভাগে ছোটই কন্টকবৎ দন্ত-যুক্ত হয় । কিন্তু আর২ বিষয়ে বহু প্রভেদ আছে বলিয়া বৰ্ত্তমান প্রাণি-তত্ত্বজ্ঞেরা তাহাদিগকে পৃথক এক জাতি শিকারী পক্ষী বলিয়া পরিগণিত করিয়াছেন, যথা ভাহাদিগের পদ এবং পদাঙ্গুলী সকল বড় সরু, নখর গুলি স্বক্ষ এবং বলহীন, পরস্থ ভাঁহাদের চঞ্চুর অগ্রভাগ এমনি তীক্ষু যে দৈবক্রমে যদি তাহার। মনুষ্যের অঙ্গুলিতে দংশন করে, তবে ধারাবাহিক শোণিত তাহ হইতে নির্গত হইয়। থাকে । শব্লাইকশ পক্ষীদিগের স্বভাব ব্যাঘ্র পশুর স্বভাবের ন্যায় সাতিশয় নির্দয় হয়, কীট পতঙ্গ যথেচ্ছ। তাহারা নষ্ট করিয়া থাকে, ক্ষুধা না থাকিলেও কীট নিপাভনে তাহারা কখনই নিবৃত্ত হয় না, শুদ্ধ আমোদ ও ক্রীড়ার জন্য ঐ দুরন্ত পক্ষীগণ ক্ষুদ্র জীব-দিগের জীবন নষ্ট করে । শিকার করণের রীতি দেখিলে এই পক্ষীদিগের চঞ্চু ও খাবার ব্যবহার অনায়াসে উপলব্ধ হয়, তাহার। কীট পতঙ্গ ছে৷ মারিয়া লইয়া যায় বটে, কিন্তু একেবারে গিলিয়া ফেলে না, অগ্ৰে চঞ্চুতে ধরিয়া রাখে, পরে সুক্ষ অথচ তীক্ষু নখ, দ্বারা তাহ বিদ্ধ করিয়া আহার করিতে থাকে। যদি দৈবাৎ ইন্দুর ও ক্ষুদ্র পক্ষী তাহাদের শিকারের অধীন হয়, তবে জাহার অন্য কোন স্থানে চকু এবং নখরাঘাত না করিয়া মস্তকে আঘাত করে । মস্তিষ্কের বেদন বড় বেদনা, ক্ষুদ্র জীবগণ তদার বড়ই কাতর হয় আর নড়ে চড়ে না, সুতরাং