পাতা:জীবরহস্য.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পক্ষী । ীৈ ৩ শরাইকশের নখ এবং চঞ্চু দ্বারা ভাহাদিগকে আবদ্ধ করিয়া বহুদূরে উড়িয়া যাইতে পারে । শরাইকশ-নাম ফিঙ্গারা ক্ষুধা না থাকিলেও শুদ্ধ ক্রীড়া এবং আমোদের নিমিত্ত বহুসংখ্যক কীট পত্তঙ্গের প্রাণ বিনাশ করে । এই যে বিষয়টি উক্ত হইয়াছে, ইহাতে জগতের মঙ্গল বই অমঙ্গল হয় না, এমন প্রমাণ ভূরিখ দেখান যাইতে পারে। ১৮২৯ খৃ-অব্দের বসন্তকালে উত্তমাশা অন্তরীপে পঙ্গপালের বড়ই প্রাদুর্ভাব হয়, হিংস্ৰক পতঙ্গগণ পালেই আসিয়া সমুদায় রক্ষপত্র নষ্ট করিয়া ফেলে । শস্য ও ফলবান ব্লক্ষ নষ্ট হওয়াতে লোক সকল কাতর হইয়া পঙ্গপাল বিনাশের বিস্তর চেষ্ট। পায়, কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। তিনচারি দিন এইরূপ ঘটনা হইলে, আফ্রিকার উত্তরাংশ হইতে এক বাঁকি শরাইক বাজু উত্তমাশ। অন্তরীপে উপস্থিত হয়, উপস্থিত হইয়া দিন কয়েক পঙ্গপালের এমনি বিনাশ করে, যে তদার। সমুদায় দুরন্ত পতঙ্গ সেস্তান হইতে বিলুপ্ত হইয়া যায় । জন্মস্থান এবং জন্মভূমির প্রভি পক্ষী জাতির বড়ই অনুরাগ থাকে, অতিমুখে অন্যত্রে বাস করিলেও তাকীর। সহস। পিতৃ মাতৃ স্থান পরিত্যাগ করিতে চাহে ন । কেহ ২ বিবেচনা করেন, শূন্যমার্গে উঠিয় পক্ষী জাতি পুৰ্ব্বনিবাস দেখিতে পায়, তাহীতেই স্বস্থানে প্রস্থান করিয় থাকে । কিন্তু পরীক্ষা দ্বার। জানা গিয়াছে, অনেক পক্ষী ফুক্কুয়াদি জন্তুর ন্যায় প্রভূভক্ত, এবং পুৰ্ব্ব আবাসের নিতাস্তানুরাগী হয় । উড়িতে না পারিলেও প্রাণপণ যত্ব করিয়া স্বস্থানে প্রস্থান করিবার বি