পাতা:জীবরহস্য.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্পদ। y : & লাদি পশুরা তাদৃশ নহে; তাহারা ভদপেক্ষায় অধিকতর নিষ্ঠুর ; তাহারা জীববিনাশে প্রীতি প্রাপ্ত হয়, অন্তএব. তৎকৰ্ম্মে সাধ্যানুসারে কদাপি ক্রটি করে না ; যে কোন সখ্যক জীব নিকটে পায় তৎসমুদায়ই বিনষ্ট করিয়া থাকে । খটাস এই বর্ণান্তর্গত পশু । অনেকে দেখিয়া থাকিবেন যে তাহারা কোন কপোত-পালীতে প্রবিষ্ট হইতে পারিলে সকল পারাবভ নষ্ট করে, ইচ্ছামুসারে একটিও ত্যাগ করে না; অন্যথা তাহারা ক্ষুন্নিবারণে তুষ্ট হইলে দুই একটা পারাবতে পরিতৃপ্ত হইত । ভোন্দড়েরাও অবকাশমতে পুষ্করিণীর সমস্ত মৎস্য নষ্ট করিতে ক্রটি করে না । এই নৃশংসত্ত্বের এক প্রধান কারণ এই যে নকুলাদি পশু শোণিত-প্রিয় ; অন্যান্য পশুর ন্যায় মাংস-ভক্ষণ না করিয়া কেবল মস্তিষ্ক ভক্ষণ ও স্কন্ধের শোণিত পান করে; সুতরাং অনেক জীব নষ্ট ন করিলে পরিতৃপ্ত হইতে পারে না। অপর এই প্রযুক্তই তাহারা জীব নষ্ট করিবার সময়ে ভাহীদের স্কন্ধেই দংশন করিয়া থাকে । প্রস্তাবিত পশুরা যে প্রকার ব্যাঘ্র হইতে নৃশংস সেইরূপ সাহসিকও বটে। দৃষ্ট হইয়াছে যে অতি ক্ষুদ্রকায় ইচ্ছুর-সদৃশ নকুল বৃহৎকায় রাজহংসকে ধূম্ভ করিতেও অপ্রস্তুত নহে। কথিত আছে যে কএকটা বেজি একত্রিত হইয়৷ মলুয্যকেও আক্রমণ করিয়া থাকে । বঙ্গদেশে সৰ্ব্বদা দুই প্রকার উদবিড়াল দৃষ্ট হয় । তাহার উভয়ের অবয়ব একপ্রকার ; কিন্তু একের গাত্রে । আস্তব-তণ্ডুলের সদৃশ গন্ধ থাকে, অন্যের গাত্রে কোন গন্ধ থাকে না । ইহাদিগের দেহ সামান্য-বিড়ালের