পাতা:জীবরহস্য.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্পদ। ゞソソ বাহার্থে প্রত্যহ কোন সময়ে বিশেষভঃ রজনীযোগে ভূক্ত বস্তু উদগীরিত করিয় ভাহীর পুনশ্চৰ্ব্বণ করিয়া থাকে । ঐ দ্বিতীয় চৰ্ব্বণের নাম “ রোমন্থ “ সামান্য ভাষায় তাহীকে " জাওর কাটা" বলা যায় । এই রোমস্ত শব্দহইভে প্রস্তাবিত পশুদিগের নাম রোমস্তিক হইয়াছে । এই রোমন্থ-কার্য্যের অভিপ্রায় কি ভাহার বিবেচনা করিলে প্রতীত হয়, যে, যে সকল পশু রোমস্ত করে তাহারা সকলেই তৃণহারী । ঐ তৃণ প্রচুরপরিমাণে ভক্ষণ না করিলে দেহের পুষ্টি হয় না ; সেই প্রচুর পরিমিত ভূণ যথাপ্রয়োজনীয়-নিয়মে চৰ্ব্বণ করিয়া ভক্ষণ করিতে হইলে ভোজন-কৰ্ম্মেই দিবারাত্রি নিয়োগ করিতে হয় । রোমন্থিকের নিৰ্ব্বিঘ্নে রাত্রি চরণ করিতে পারে না, কারণ ইহাদিগের শক্রসস্থা। অনেক; ঐ শত্রুরাও অভ্যন্ত বলব্লান্‌ ও নৃশংস, তাহীদের মাংসার্থে নিস্তান্ত লোলুপ। মাংসাহারী পশুগণ রজনীযোগেই আহারান্বেষণে বিচরণ করিয়া থাকে, তৎকালে রোমস্থিক পশুর ক্ষেত্রে বিচরণ করিলে ঐ প্রবল শক্রহইভে পরিত্রাণ পাইবার উপায় নাই ; সুতরাং ভাহাদিগকে কেবল দিবসে মাত্র ভক্ষণ করিয়া রাত্রিকালে কোন দুর্গম গোপন স্থানে লুক্কায়িত থাকাপ্রযুক্ত অৰ্দ্ধাশনে ক্লিষ্ট হইতে হয়, অথব রজনীতে চরণ করিয়৷ হংস্রপশু দ্বারা বিনষ্ট হইতে হয় । এই আপদের নিরাকরণার্থে জগৎপিত৷ ইহাদিগকে রোমন্থ-করণের ক্ষমত দিয়াছেন । ক্ষমতার বিশেষ ফল এই, প্রস্তাবিত পশুর দিবসে সত্বরে যথা প্রয়োজনীয় পরিমাণে তৃণ উৎপাটন করত যথাবিহিত চৰ্ব্বণ না করিয়াও তাহ