পাতা:জীবরহস্য.pdf/২৩৫

* रं 8 জীবরহস্য। মহিষ শৃঙ্গের ন্যায় বক্র ও ভয়ানক ; এবং তাহা স্ত্রী পুরুষ উভয়ের মস্তকে বর্তমান থাকে। ঐ শৃঙ্গের মুলে কতক শৃঙ্গবৎ পদার্থের এক সুদৃঢ় মস্তকাবরণ থাকে ; এবং থুতির উপরে এ প্রকারে ত্বক লম্বমান থাকে যে তাহাতে অনায়াসে ইহাদের নাসিকা আৱত হইতে পারে। ইহাদের বর্ণ কৃষ্ণমিশ্রিত কটা ; কেবল স্কন্ধের কেশ পাংশুবর্ণ। প্রস্তাবিত পশুরা আফরিকা-দেশের বিস্তৃত তৃণক্ষেত্রে দলবদ্ধ হইয়া বাস করে। এক এক দলে ৪০-৫০ বা ততোধিক পশু একত্র থাকে ; তন্মধ্যে স্ত্রীপশুরই সঙ্খ্যা অধিক ; প্রতিদলে পুং টাকীন ৪-৫ টার অধিক থাকে ন। কোন আপদ উপস্থিত হইলে এই পশুর পরস্পর এক সুদীর্ঘ শ্রেণীতে আবদ্ধ হইয়া অভিবেগে পলায়ন করে; তৎকালে অশ্বেরাও ইহাদিগের সহিত সমবেগে দৌড়িতে অক্ষম হয় । স্বভাবতঃ টাকীন যুদ্ধপ্রিয় নহে, কিন্তু মনুষ্যকর্তৃক আক্রান্ত হইলে ভয়ানক কোপের সহিত ভোহাদিগের আক্রামকদিগকে সংহার করে । এইপ্রযুক্ত সহসা ইহাদিগের নিকট যাওয়৷ বিধেয় নহে । ইহার মাংস অভ্যন্ত উপাদেয় এবং তৎপ্রযুক্ত বর্ষেই অনেক টাকীন বিনষ্ট হইয় থাকে । টাকীনের প্রকৃত নাম “জু"। আফরিকাদেশে তথা ইউরোপখণ্ডে ইহা এই নামেই প্রসিদ্ধ আছে । পরন্তু ইহার জাতিবিশেষ আসাম-প্রদেশে টাকৗন নামে বিখ্যাত আছে, তাহাতে ‘ প্রকৃত জুর সহিত অভ্যন্ত সোসাদৃশ্য দৃষ্ট হয়, এই প্রযুক্ত আফরিকা-খণ্ডের পশুকেও টাকীন শব্দে বর্ণন করিলাম ।