পাতা:জীবরহস্য.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবরহস্য । وه ئیالا ধৰ্ম্ম নিরূপিত হইয়াছে, তৎসমুদয়ের অালোচনা করুিলেও ঐ দেহ-যন্ত্রের সকল সুক্ষ তাৎপর্যা নিৰ্দ্ধারিভ করা যায় না ; সমস্ত রসায়ন-বিদ্যার অসুশীলন করিলেও জঠরাগ্নির কার্য্যপ্রণালী নির্দিষ্ট করা দুষ্কর । শিল্পবিৎ অদ্বিতীয় পণ্ডিত শ্রবণেন্দ্রিয়ের সুক্ষভা নিরূপিত করিতে পারেন নাই । রশ্মির সমস্ত ধৰ্ম্ম জ্ঞাত থাকিলেও নয়নেন্দ্রিয়ের নিকৃষ্টাৰ্থ নিৰ্দ্ধারিত করা দুঃসাধ্য বোধ হয় । অপর ঐ সকল ইন্দ্রিয়াদির আদশ নিৰ্দ্ধারিত করিয়া জীব-ভেদে ও প্রয়োজন-ভেদে তাহার যে কত প্রকার অবস্তির ভেদ লক্ষিত হইয়াছে, তাহার মনন করিতে হইলে, মন এক কালে অবসন্ন হইয় পড়ে। সামান্যতঃ জীবদেহের দর্শন করিলে বোধ হয় নয়নেন্দ্রিয় রশ্মির অনুভব-করণার্থেই উৎপন্ন হইয়াছে ; রশ্মির অভাব হইলে স্বতি প্রখর নয়ন ও সি ফল হইয়া পড়ে । কিন্তু জগ ২পিত কোন কোন নক্তঞ্চর জীবদিগের নয়ন এরূপ আশ্চৰ্য্যকৌশলে নিৰ্ম্মিস্ত করিয়াছেন, যে তদূর ঐ জীব অন্ধকারে দর্শনক্ষম হয় ; দিবাভাগের আলোকে কিছুই নিরীক্ষণ করিতে পারে না । যে জীবের উল্লেখে আমৰা এত কথা কহিলাম, তাহার নাম কিঙ্কজে, উহ। দ্বিপুরোদস্তী পশু; দিবসে ঐ জীদ নয়ন মুদ্রিত করিয়া ব্লক্ষশাখায় নিদ্রা বস্থায় কালক্ষেপ করে, রজনীর প্রারম্ভ হইলে চক্ষুকীলন করত মৃগয়ায় প্ররক্ত হয় । দিবা ভাগে তাহাকে জাগরিত করিলে আলোক তাহার পক্ষে এতাদৃশ অসহ বোধ হয় যে তাহার নয়নের পুত্তলি সস্কুচিত হইয়া একটি স্থক্ষ বিচ্ছুর সদৃশ বোধ হয় । এই আশ্চৰ্য্য জীবের জিহ্বাও অতি বিস্ময়