পাতা:জীবরহস্য.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধুমক্ষিকা । २०१ ৰিপক্ষ পক্ষকে মধুচক্রের নিকট সহসা আসিঙে দেয় না। কিন্তু যুদ্ধ করিতেই যদি রাণীর বিনাশ হয়, তবে অার তাহার। সমরে প্রৱৰ্ত্ত হয় না, শক্রপক্ষের রাণীর অধীন হইয়া,উভয়-পক্ষ একপক্ষ হইয় উঠে। মনুষ্য-জাতির ন্যায়ু মধুমক্ষিকারাও কখনই দস্থাৱত্তিতে রত হইয়া থাকে । কিন্তু নিতান্ত অভাব ন৷ হইলে তাহার এ কুকৰ্ম্ম কদাচ করে না। বর্ষ। শীত বা অন্য কোন কারণ প্রযুক্ত মধু আহরণ করিতে যখন তাহার কোন মতে সমর্থ না হয়, যখন পাঁচ সাত দিন তাহাদিগকে উপবাস দিতে হয়, তখনই এই কৰ্ম্ম করে । সে সময়ে অন্য কোন দল যদি আভিখ্য ধৰ্ম্ম প্রকাশ করিয়া আপনাদিগের সঞ্চিত মপুর.কিয়দংশ তাহাদিগকে আহার করিতে দেয়, তবে ক্ষুধিত মধুমক্ষিকার চৌর্য্যৱত্তি-রূপ জঘন্য পাপ একেবারে পরিত্যাগ করে । চৌর্য্যৱত্তি করণের পূৰ্ব্বে অগ্রে তাহার চর পাঠাইয়া দেয়, দৰ্ম্ম-দূতগণ অপর পক্ষের দ্বারস্থ হইয়। তাহদের ৰল বীর্য্য পরীক্ষা করিতে থাকে । যদি দমু্য-দলের চর আসিয়াছে, মধুমক্ষিকারা এমন জানিতে পারে, ভৰে রক্ষক নিযুক্ত করিয়া তাহাদিগকে মধুচক্রের নিকট জাসিঙে দেয় না । না জানিভে পারিলেই সমর উপস্থিত হয়, কিন্তু সমরের সময় দক্ষু্যদল কেবল রাণীকে মারিৰার চেষ্টা করে, রাজীকে মারিক্তে পারিলেই তাহtদৈর জয়লাভ হয় । কারণ রাণী মরিলে অপর মোমাছিগণ দসু্যনিবারণ হেতু আর কোন চেষ্টা করে না, আপনাদের সঞ্চিত মধু দত্মদিগকে দিয়৷ তাহীদের ? রাণীর অধীন হয় ।