পাতা:জীবরহস্য.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবরহস্য । Ե. Գ যে দিকে ইচ্ছ। সেই দিকের বস্তু স্পষ্টরূপ অবলোকন করিতে পারে । দুই-চক্ষুযুক্ত জীবগণ সম্মুখভিন্ন অন্যদিকের বস্তু দেখিতে হইলে নমনশীল মাংসপেশীর সহকারে চক্ষু ফিরাইয় থাকে । কিন্তু মক্ষিকাদিগকে সেরূপ করিতে হয় না, বহু চক্ষ থাকাতে তাহারা ৰিন৷ বাধায় বিন ক্লেশে চারি দিকে চক্ষু ফিরায়, ফিরাইলেই এক একটি ক্ষুদ্র চক্ষু চতুষ্পাশ্ব স্থ এক একটি বস্তুর প্রতি স্থিরতর রূপে পড়ে । মৎস্যেরা জলচর জন্তু । বায়ু অপেক্ষা জলের ঘনত। অধিক হয়, বিশেষ সুৰ্য্যের কিরণ বক্র গামি রূপে তন্মধ্যে প্রবেশ করে, এজন্য চক্ষু খুলিয়া মনুষ্য অনেকক্ষণ জলে জুৰিয়া থাকিতে পারে না। কিন্তু পরমেশ্বর মৎস্যের চক্ষে স্ফটিকের ন্যায় স্বচ্ছ এক প্রকার রস প্রদান করিয়াছেন, ঐ রস গোলাকার মৎস্য-চক্ষের উপরিভাগে থাকে, দিব। রাত্রি নিরবচ্ছিন্ন মৎস্যজাতি জলমধ্যে চক্ষুরুন্মীলন করিয়া থাকিলেও জলের ঘনত এবং বক্রগামী স্থৰ্য্য-কিরণ প্রযুক্ত তাহাদিগের দৃষ্টিরোধ হয় না । তাহাদিগের চক্ষে ভ্ৰ নাই, পক্ষ নাই, ইচ্ছ। হইলে মুদিত অথৰ। কোন দিকে ফিরাইতে পারে না, কিন্তু জগদীশ্বর রূপ করিয়া তাহাদিগকে শৃঙ্গবৎ কঠিন এক প্রকার শূয়া দিয়াছেন, ঐ শূয় নিয়ত তাহাদিসের চক্ষু রক্ষা করে । ভূতপূৰ্ব্ব লোকসকল বিবেচনা করিতেন যে ছুচাদিগের চক্ষু নাই, তাহারা দিৰা রাত্রি অন্ধ থাকে । কিন্তু পরীক্ষাদ্বারা নিশ্চয় হইয়াছে, যে, মালপিনের মাথার ন্যায তাঙ্গাদিগের অভিক্ষুদ্র দুইটী কাল চকু আছে। ছুচা জন্তু প্রায় নিয়ত ভূমিগর্ভে