পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না, সুইসাইডের সে পক্ষপাতী নয়, ওটা ঘূণ্য কাজ-একমাত্র দলের জন্যে বিপ্লবের প্রয়োজনে ছাড়া। ধরা পড়তে, পুলিসের অসহ্য নিৰ্য্যাতনে, দেহমানে অমানুষিক পীড়নে ভেঙে পড়তে বা উন্মাদ হতে হবে এটা এড়াবার জন্যও সে আত্মনাশ সমর্থন করে না। হোক পীড়ন, চুরমার হয়ে যাক দেহের হাড়, মনের গঠন, ওই পীড়ন দেশে প্ৰতিশোধের আগুন জালাবে। তবে অসুখ হয়ে প্ৰতিমা যদি হঠাৎ মারা যায়, কারো কিছু বলার বা করার থাকে না। পুলিসের গুলিতে বা ফাসির দড়িতে মরার আশায় ওই মরণের শোক সে তুচ্ছ করতে পারে। BDBDBD BBBD DD D KBDB BBE SLB DDS BBB DD gBD DDD প্ৰতিকারের উপায় থাকে না । অমিতাভ অনুভব করে, সারা জীবনের আত্মজ্ঞান আর জীবন ও জগৎ সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি তার এতদিনে এই প্রথম ওলোট পালোট হয়ে যেতে আরম্ভ করেছে। বিপ্লবী দলে যোগ দিতে তাকে বদলাতে হয় নি, তারই সঞ্চিত ক্ষোভ পুঞ্জীভূত আক্রোশ তাকে এদিকে ঠেলে দিয়েছে। বিদ্রোহের পথে, দলের শিক্ষায় বিপ্লবীদের সঙ্গে মেলামেশায় শুধু কঠোর হয়ে জমাট বেঁধেছে। সেই ঘূণা, দৃঢ় হয়েছে বিশ্বাস, কঠিন হয়েছে পণ। নিজের সঙ্গে বিরোধিতায়, বোঝাপড়ার দরকার হয় নি। আজ প্ৰথম প্ৰচণ্ড আত্মবিরোধী লড়ায়ে কেমন যেন নতুন BB DDDD OBBBD DD BBS DBDD BDBBDSDBBBDSS DLYDBB KKDBD যেন যেমন সে ভেবে রেখেছিল। তেমন ছিল না কোন দিন, আজ তাই প্ৰহরে প্ৰহরে দিনে দিনে তাকে আশ্চৰ্য্য হয়ে যেতে হচ্ছে-নিজের ওই রূপগুলির নতুন নতুন চেহারা দেখে। মোড়ে মোড়ে পুলিস মোতায়েন, পথে লোক চলাচল কমে গেছে, কাঙালিটোলার গা-ঘেষে ছোট বাজারটা এক রকম বসে নি। শহরের শঙ্কা আর চাপা। উত্তেজনার শান্ত রূপ ঝাপটার মত চোখে লাগে। সোনাতুল্লার একতলা জীৰ্ণ বাড়ীর আলকাতরা মাখানে কালো দরজায় মরচে ধরা তালা আঁটা । মরচে ধরাই ছিল তালাটায়; দরজায় তালা পড়েছে কাল। সোনাতুল্লার সঙ্গে দরকার ছিল অমিতাভের। ওকে খুজে বার করতে হবে মুসলমান মহল্লায়। SGR