পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্য্যকারী পরামর্শ বিশেষ প্ৰশংসা অর্জন করেছে সৰ্বোচ্চ স্তরে, এও কি তার সেই মনোবাসনারই অঙ্গ ? কার্লটন নিজেও বোধ হয় তা জানে না। তার ছাচে ঢালা অসীম আত্মসন্তুষ্টিতে পরিপুষ্ট মন এ ধরনের আত্মচিন্তায় নিজেকে বুঝতে চাওয়ার চেষ্টা করতেও জানে না। মাঝে মাঝে সে শুধু ভাবে ভবিষ্যতের কথা। উচুতে উঠিয়ে কলকাতায় তাকে নিয়ে যাবে গবৰ্ণমেণ্ট, স্থায়ী ভাবে নিয়ে যাবে, মফস্বলে জীবনের অভাবের জন্য তাকে ছেড়ে এক কলকাতায় বাস করার কষ্ট আর মার্জেরীর করতে হবে না। তার কলকাতার বাড়িতে তার ঘরে তার শয্যায়। তার সঙ্গে মার্জোরীর রাত কাটবে। উচ্চপদ! খুশি মার্জোৱী । বৃটেনকে সে ভালবাসে। বৃটিশ সাম্রাজ্যের জন্য সে প্ৰাণ দিতে পারে। সেটা জানা কথাই। সতেরোই মেমোরিয়েল ফণ্ডের টাকাটা ভুবন বাড়ীতে এনে রাখবে, টাকাটা দরকার হবে পরদিন সকাল আটটায়। এই টাকাটা রাতারাতি লুট করার ইচ্ছা কালীনাথদের । টাকার দরকার তো তাদের আছেই, এমন ডাকাতি করার উপযুক্ত টাকা আর কোথায় পাবে! কার্লটনকে জানিয়ে দেওয়া হবে অত্যাচারী বিদেশী হাকিমের স্মৃতিরক্ষার ব্যবস্থার বাস্তব প্ৰতিবাদও করে দেশের লোক । ভুবনেরও হয়তো চৈতন্য হবে। আশা করা যায়। দেশের লোকের মনে বিভ্ৰান্তি স্বষ্টির চেষ্টায় এতটা উৎসাহ হয়তো ভবিষ্যতে সে দেখাবে না। সতেরোই তারিখ পিছিয়ে দেবার প্রশ্ন তাই নেই, ওই দিনই হয়। ভুবনের বাড়ী চড়াও হবে, না হয়। বাতিল করবে। সমস্ত পরিকল্পনা আর আয়োজন। সতেরোই তারিখ কি আবার পেছিয়ে দিতে হবে ? নেতাদের মধ্যে কথাটা উঠেছিল বেশ জোরের সঙ্গেই। সে এক স্মরণীয় বিতর্ক গোপন বৈঠকের পাঁচজনের পক্ষে, গভীরভাবে আত্মবোধ নাড়া খাওয়ার অভিজ্ঞতার মতই বহুদিন চারজনের মনের মধ্যে গাথা হয়েছিল । বেঁচে থাকলে পঞ্চম জনেরও মনের ভবিষ্যৎ আলোড়নে সেদিনের ওঠা ঢেউ-এর রেশ থেকে যেত সন্দেহ নেই। পনেরই বিকালে কলকাতা থেকে সেজদা আসে, অমিতাভ তখন প্ৰতিমার কাছে । এ বছর বীরেন। সেনের এ শহরে আসা এই প্ৰথম, দলের অনেক S ? Ve