পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r: S এইভাবে মৃত অমিতকে দেখতে গেল প্ৰতিমা । শালবন ঘেঁষা গায়ের প্রায় বনের মধ্যে গ্ৰাস করা অংশটুকুর মাটির ঘরটিতে পাকা এবং আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিল। দলের লোক ও দলের বন্ধু। পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ায় শহরের অনেক বিশ্বাসযোগ্য বন্ধুর সাহায্য কালীনাথদের নিতে হয়েছে। পাকা বাদ পড়ে নি । দলের ভিতরকার খবরাখবর পাকা মোটামুটি বরাবরই জানে। একটু তফাৎ থেকে দলের কাৰ্য্যকলাপ কিছু কিছু লক্ষ্য করা, একে ওকে সতর্কভাবে অনুসরণ করা এসব রোমাঞ্চের লোভ সে সামলাতে পারে নি। তার শুধু জানা ছিল না যে তার এই গোপন গতিবিধি কালীনাথদের কাছে মোটেই গোপন নেই, আটুলিগার জঙ্গলে গাড়ীর স্ট্রয়ারিং হুইলে তাদের সাবধান করে বেনামী স্ট্রিপটি কে লিখেছিল তাও নয়। তার এই আগ্রহ ও কৌতুহল লক্ষ্য করে তাকে আর একটা সুযোগ দেবার কথাও কালীনাথ ऊायछिल । পাকাও সারারাত জেগেছে কিন্তু তার চােখে ঘুম ছিল না। এ অবস্থায় ঘুম থাকার কথাও নয়। কিন্তু ভিতরের আলোড়ন আর কষ্টটা তার অদ্ভুত মনে হচ্ছিল। এমন গৌরবময় মহান মরণকে সরকারী বন্দুকের গুলি কি কুৎসিত করে একে দিয়েছে অমিতাভের সুশ্ৰী মুখখানার বিকৃতিতে তা চোখে দেখার পর থেকে তীব্র ক্ষোভের জালা তাকে পুড়িয়ে দিচ্ছে। এ তার অবুঝ ছেলেমানুষী ক্ৰোধ নয় যে, মানুষ যুদ্ধে মরলেও তার অমিতাদা’র মুখশ্ৰীৱ কেন হানি হবে, মৃত্যুর এই বাহ রূপের মধ্যে তার কাছে স্পষ্ট হয়েছে এভাবে প্ৰাণ দিতে বাধ্য হওয়াটা কি অসহ অন্যায়, এই অকথ্য অনিয়ম। একদিকে বিদেশী দানবের কুৎসিত জবরদস্তি, অন্য দিকে সারা দেশটার তাই মেনে নেবার SVʻ