পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেয় না, বেকার খাটতে ডাকলে কর্কশ জবাব দেয়, বসন্তের লেঠেলের মাথা ফাটিয়ে রক্তপাত করে । ধনদাস শুধু বলে, তা দেখি একবার। তোমরা বলছি। সেদিন তারা সপরিবারে এই নতুন প্রচেষ্টার রোমাঞ্চ ভোগ করে। বড় একটা শোল মাছ ধরে ঝাল রান্না হয়। মাছটা ধরে আনে পিসী সুভদ্ৰা । পরের পুকুরে দু’বছর ধরে পোষা মাছ, এমনি দরকারের জন্যই বুঝি সুভদ্ৰা এটার্কাটা ভাতের কণা কুড়িয়ে দু’বছর প্রতিদিন দুপুরে খাওয়ার পর ডোবার ঘাটে গিয়ে বঁ হাতে জলে ছলছল শব্দ করে ডান হাত জলে ডুবিয়েছে-হাত ঠুকরে ঠুকরে শোল মাছটা খাবার খেয়ে গেছে। আজ খপ করে কানকোর নীচে চেপে ধরে তাকেই অনায়াসে ধরে এনে সুভদ্ৰা মাছের ঝাল दू दब्रुळ । ভোর রাত্রে যাত্রা। অন্ধকার থাকতে। দ্যাখো, আটুলিগার আকাশেও BDD B DBBDB YS SBBB DBD DDLDD DDD DBB DD OBDS BBDBDDDB BBBBD DBD BDS DDS BDS BBBBD D DD DD EBLBD S গাছ যেন রোদেই ছায়া দেয়, দিনের বেলায়। সবাই যখন সজাগ । ভোর রাত্রের ঘুম-কাতর চোখকে যেন গাছের ছায়া আশ্রয় আর বিশ্রাম CS o গরুর গাড়ীতে সদর বাজারে বঁাশ বিক্ৰী করতে গেল খুড়ো-ভাইপো । মন্থর, দীর্ঘ পথ, সাইকেলেও সদর এত দূর নয়। পৌছতেই দুপুর হয়ে গেল, বাজার তখন ভেঙ্গে গেছে। এদিকে রাত দুপুরে রওনা দেওয়া উচিত ছিল। অতুলের বঁাশকাঠের আড়ত পাচুর জানা ছিল। দীর সুবিধে পাওয়া গেল না। সে বেলার মত বাজার ভেঙ্গে গেছে বলে নয়। মাছ-তরকারির মত বাঁশের বাজারের এবেল ওবেলা নেই, দরটাই পড়ে গেছে এসব জিনিসের, মাটিতে যা জন্মায় । গায়ের হাটে আট ন” আনা পেত, সদরে এসে গড়ে এগার আনা । তারই জন্য দুটো মানুষ দুটো গরুর দিন ভোর খাটুনি। না, বাণিজ্য তাদের পোষাবে না। গাড়ীটা পুরো বোঝাই বঁাশ এনে বেচলে কিছু হত, দশটা-বারোটা বঁাশ এনে ব্যবসা হয় না। »b”bሙ