পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাণ্ডা হয়ে বাড়িয়ে ফেনিয়ে রোমাঞ্চকর বিবরণ দেয়। পাচু, কথা আর অঙ্গভঙ্গি মিলে কি যে জমজমাট প্ৰাণবন্ত হয়ে ওঠে তার বর্ণনা । তার প্রাণ থেকে যে তীব্র ঝাজ আর উগ্ৰ ক্ষোভ উথলে উথলে বেরিয়ে আসতে থাকে সোজা স্পষ্ট গেয়ো ভাষায় শুনলে নলিনী দারোগারও চমক লেগে যেত। পাকার কথা ধরাই চলে না, কানাই-এর তুলনায়ও তার পাঁচ ঘণ্টার নির্য্যাতন এক রকম কিছুই নয় বলা চলে। কিন্তু ওদের চেয়ে তার যেন শতগুণ বেশি রাগ। চাষার ছেলে ভীরু নরম হয়, পাচুর রকম দেখে এ ধারণা আর টিকিয়ে রাখা যায় না। পাঁচ ঘণ্টা সে কেন তবে মুখ বুজে। সব সয়ে গিয়েছিল, একবারও ফোস করে ওঠে নি। ওটাও রীতি চাষার ছেলের, অত তার ফাক ভাবোছুস থাকে না, আলগা হয়েও থাকে না হৃদয় মনের ছিপি যে মিছামিছি বেহিসেবী ফুসে উঠবে। মাটি তাকে ধৈৰ্য্য শেখায়। ঘরের দাওয়ায় এখানে বিপদ নেই বলে যে প্রাণ খুলে ছাকা মিথ্যে আওড়াচ্ছে তাও সত্য নয়। যতটা সে বলতে পারছে তার চেয়ে অনেক বেশিই বরং তার অন্তরের বিক্ষোভ, খাটি জ্বালা। কারণ, এ তো শুধু তার উপর নিৰ্য্যাতনের কথা নয়। এক রাত্রির অত্যাচারে মরতে মরতে বেঁচে উঠে পাকা না হয় এক সে অত্যাচারের জালা নিজের বুকে পুষে সামলে উঠতে দেশভ্রমণে গেছে, সে ভদ্রঘরের ছেলে, তার দরাজ বুক। এর আগে সরকারী দাপটের টােকাটিও পাচুর গায়ে কখনো সরাসরি লাগে নি, তার জীবনে থানায় গিয়ে নলিনী ও তার সাঙ্গোপাঙ্গের কানমলা চড়-চাপড় গালাগালি গায়ে মাখা এই প্ৰথম। তাই বলে দেশজুড়ে অন্যায়ের জগদ্দল চাপ কি জন্ম থেকে তার বুকে চাপ দেয় নি ? গায়ে তার আপনি কাকা জ্ঞানদাস আর শহরে তার আপনি বন্ধু পাকা ও কানাই কি শুধু তাকে জ্বালা জুগিয়েছে? জ্ঞান হয়ে থেকে হৃদয় মন জালা করার অসংখ্য কারণ দেখে আসছে, শুনে আসছে।-বইয়ে অনাচার অত্যাচারের বিবরণ পড়ে রক্তে আগুন ধরে গেছে। রাগ তাই পাচু কম সঞ্চয় করে নি এই বয়সে। স্কুলে পড়লেও মনের চাষাড়ে ভেঁাতা গুণটা রয়ে গেছে বলে, যা নিছক সহনশীলতা-সয়ে সয়ে সব কিছু সয়ে যাবার বংশগত অভ্যাস, DDB KSDB DBD DBB DBDD BODD DBBB uLBDD D S SAR