পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলে দু’জনকেই তার চাই, তাই এত অনায়াসে তার এমন বেহায়াপনা, দু’জনের একটু মিল হয়েছে শুনেই ঘোষণা করে যে সে খুশি হয়েছে। সুধার পছন্দ হয় নি। পাচুকে। তাকে না জানিয়ে পাকা বন্ধুকে আসতে লিখেছে। এতেই প্ৰাণে আঘাত লেগেছে সুধার। কত ছোট ব্যাপারে কত বড় সত্যের ইঙ্গিত পায় একাগ্র উচ্চকিত প্ৰাণ ! এখনো শরীর ভাল সারে নি। পাকার, সুধার মতে মোটেই সারে নি, এরই মধ্যে একান্ত সুধার হয়ে বেঁচে থাকতে তার হাঁপ ধরেছে, সে অন্য সঙ্গী চায়, বাইরের বেপরোয়া উচ্ছঙ্খল জীবন চায়! এত তাড়াতাড়ি ? চপল দুরন্ত পাগল ছেলে, কারো আঁচল ধরে সে থাকবে না, সে যেই হোক, সুধা তা জানে। একা সে পাকাকে বেঁধে রাগতে DDB BD DDBD DBDB DBD BDS gDBB BDB BBB DD DSSB BBD DD সে কি হাসপাতালের নাসার্স যে এত সস্তায় পাকা তার পাওনা মিটিয়ে দেবে ? রাত নটা বাজতে না বাজতে সুধা পাচুকে বলে, ওকে আর রাত জাগিয়ে না। ওর শরীর ভাল নয়। বেশ কড়া সুরেই বলে। পাকা বলে, আমার ঘুম পায় নি। শুলেই ঘুম পাবে। পাকাকে শুইয়ে দিয়ে একদৃষ্টি তার মুখখানা দেখে। চােয়াল ভেঙে বঁকা হয়ে গিয়েছিল পাকার মুখ, ডাক্তার যতখানি পারে সোজা করে দিয়েছে। কোমল হাতে ম্যাসেজ করে করে বাকিটুকু যদি সুধা ঠিক করতে পারে, নইলে কোন উপায় নেই। দিনে চার বার সুধা আধা ঘণ্টা করে ম্যাসেজ করে। প্ৰতি রাত্রে পাকাকে শুইয়ে এমনি আগ্রহে চেয়ে দেখে, কতটা উপকার হল। পাকার দু’গাল হাতের তালুতে আস্তে চেপে ধরে সুধা বলে, সামান্য একটু এদিক ওদিক হলে কি হয় ? আগের চেয়ে বরং সুন্দর দেখাচ্ছে তোমার মুখ । বিশ্ৰী দেখালে বয়ে গেল । তোমার তো বয়েই যাবে। নিজের মুখ নিজে তো দেখতে পাও না! একটা চিঠি এসেছে তোকে দেখাই। অনন্তের চিঠি। সে কড়া ভাষায় সুধাকে যেতে লিখেছে, জানতে চেয়েছে Rʻ