পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কঁদেছিল ? সত্যি ? আমি তো জানতে পারি নি। আর কিছুই পাকা বলে নি । দু’জনে ঘুরে বেড়িয়েছে শহরে মফস্বলে নদীতে নৌকায়, আগের মত উদ্দেশ্যহীনভাবে পাক খেয়ে বেড়ানোর চূড়ান্ত করে কিন্তু নয়। পাকাকে এমন শাস্তু, এত নিস্তেজ পাচু আর দেখে নি। যে অস্থিরতা আছে আগের তুলনায় তা কিছুই নয়। তবে শরীরটা তার সত্যই সারে নি, দুর্বলতা রয়ে গেছে। মনটাও সামলে উঠতে পারে নি। টের পাওয়া যায়। এ যেন সবার সেরা প্ৰমাণ য়ে শুধু প্ৰাণটুকু রেখে কি অমানুষিক নিৰ্য্যাতনটাই করা হয়েছিল, পাকার মত ছেলে এতদিন পরেও গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারছে না। পাচুর ক্ৰোধ আর বিদ্বেষ নাড়া খেয়ে গুমরে গুমরে ওঠে। এই কারণেও মনটা তার আরও ছটফট করে ফিরে যেতে। নলিনীর কিছু করা হয় নি, দিন। এদিকে চলে যাচ্ছে 凶乙亨q乙卒目 পাচু ভাবে, তাদের শহরে ফিরে গেলে হয়তো তাড়াতাড়ি পাকা সেরে IsòV পাকা বলে, যেতে দেবে না । শুনে পাচু স্তম্ভিত হয়ে যায়। যেতে দেওয়া হবে না বলে পাকা কোন জায়গায় যাবে না, করতে দেওয়া হবে না বলে পাকা কোন কাজ করবে না, পাকার মুখে একরকম বশ্যতা বাধ্যতার কথা সে এই প্রথম শুনল। পাচু একটি পিস্তল নিয়ে যায়। সঙ্গে নেবার নির্দেশ তাকে দেওয়া হয় নি, পাকার উৎসাহে এটুকু নিয়ম সে ভঙ্গ করে। কিন্তু দুটি নিয়ে যেতে রাজী হয় না, পাকা ভীরু বলে গাল দেওয়া সত্ত্বেও । বাক্সে তোলা পিস্তলটি নিয়ে পাচু চলে যাবার এক সপ্তাহের মধ্যে কালীনাথের কাছ থেকে আর একজন আসে। পাকার কাছে। পাচুর কাছে শোনা গেছে। পাকা দুটি পিস্তলাই দিতে পারে বিশেষ হাঙ্গামা না করে। তা কি সম্ভব ? বিনা দ্বিধায় পাকা অরবিন্দের ডুয়ার খুলে দ্বিতীয় পিস্তলটি চুরি Q RRR