পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাত দিয়ে প্ৰণাম করত, মাথা নত করে তার শ্ৰীতিবাক্য সদুপদেশ শুনত ।] এ ছোড়া তাকে শালা হারামজাদা বলে গাল দিচ্ছে । সে কি-না দরদপ্তর করেছিল, অসামাজিক উপায়ে মেয়ের বয়সকালের সাধ আহিলাদের রফি সামঞ্জস্য করবার সঙ্গে মোটা কিছু পণ বাগাবার চেষ্টা করেছিল, তাই আজ তার LA PITE ! জমি নিয়ে খাজনা নিয়ে বেগার খাটা নিয়ে তাকে বেঁধে এনে হেমন্ত মুখে থুতু দিলে বুকে লাথি মারলে তার এতটা লাগত না। সে আলাদা ব্যাপার, সে ব্যাপারের আলাদা রীতি, আলাদা নিয়ম। নির্জন ঘাট থেকে পথ থেকে দুকিলিকে হেমন্ত যদি ধরে নিয়ে যেত গায়ের জোরে, সেও হত আলাদা কথা । সামাজিক বিয়ের জন্য হোক বা না হোক, মোটামুটি তার মেয়ের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়তে তার সঙ্গেই বোঝাপড়ায় নেমেছে হেমন্ত, কিন্তু এ পৰ্যন্ত তার বাপের মৰ্য্যাদা বরবাদ করে নি। সে-ই আজ সব আড়াল তুলে দিয়ে শালা হারামজাদা বলে গাল দিচ্ছে মুখোমুখি। চালাকি ছাড়, গণেশ। দশখানা করকরে নোট গুনে নিয়ে এখন বজাতি ? নোট ? ওরে শূয়ার! এখন আকাশ থেকে পড়লি ? নকুল তোকে টাকা দিয়ে আসে নি ? বাগানো দুনলা বন্দুকের দিকে চেয়ে গণেশ ধীরে ধীরে বলে, না, কেউ মোকে টাকা দেয় নি। তোমার টাকা আমি চাই না। BB BD BD SDBDD DDD DDD SS DBDD BBBBD DBB BBBS নকুলটা তা হলে বজাতি করেছে, টাকা তোমায় দেয় নি ? দাড়াও ওকে ডেকে আনাচ্ছি। তোমার সামনে ওরা দুটো কান যদি আমি কেটে না নিয়েছি সে তুমি কোেটা। গণেশ বলে, কান কেন, গলা কোেটা। আমি তোমার টাকা চাই নে। একশো কেন, লাখ টাকা চাই নে। এমন আবেগময় ব্যাপার, অথচ জমিদার-বাচ্চা হেমন্তের কাছে কোন মূল্যই পেল না। তার হল শুধু জালা ! সে জালা নিবারণ করতে গভীর রাত্রে জন R8V