বৈরাগ্য, অধর্ম্ম ও ধর্ম্ম, অকর্ত্তব্য ও কর্ত্তব্য, অজ্ঞান ও জ্ঞান, অভক্তি ও ভক্তি, আরম্ভ ও অনারম্ভ, বন্ধন ও মোক্ষ, মান ও অমানিতা, বিপদ ও সম্পদ, বিচ্ছেদ ও মিলন, নিরাশা ও আশা সকলের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ করি।
কোন্ প্রাণে, ঠাকুর, আবার বলিব যে এ জীবন এমন হইলে ভাল হইত? ভাল কাকে বলে, আর মন্দ কাকে বলে, আমি কি তা জানি, না যাহা সময় সময় ভাল মন্দ বলিয়া মনে হয়, তাহাই আমি স্ব চেষ্টায় লাভ বা বর্জ্জন করিতে পারি? যদি তা পারিতাম, যদি তা বুঝিতাম, সে ভার যদি আমার উপরে তুমি রাখিতে, তবে তোমার ঈশ্বরত্ব, তোমার বিধাতৃত্ব, তোমার নিয়ম্ভূত্ব কোথায় থাকিত, প্রভো! তবে কে তোমাকে “লা সরিক্” বলিতে পারিত? তাহা হইলে এ সংসার যে ভাগের সংসার হইয়া পড়িত। তাহাকে বহু কর্ত্তা, বহু প্রভু, বহু বিধাতা আসিয়া দখল করিতে চেষ্টা করিতেন। আর যদি কেহ বলে যে জীবনের দুঃখের মোহের পাপের কর্ত্তা আমি, আর সুখের, জ্ঞানের, পুণ্যের কর্ত্তা তুমি; তোমার সঙ্গেও, ক্ষমা কর, তেমন ভাগের ব্যবসায়ে আমি রাজি নই। লাভ টুকুন তুমি সব নিবে, আর লোক্সান যত সব আমার হাতে দিবে, এ তো মানুষের হিসাবেও ন্যায়পর হয় না, ন্যায়বান ঈশ্বর, তোমার বিধানে কি এ ব্যবস্থা কখন সম্ভব হইতে পারে? যদি পাপ আমার হয় তবে পুণ্যও আমারই। মন্দের ভাগী যদি আমি হই, তবে ভালরও পুরা ভাগ দিতে হবে। আর তাই যদি হয়, তবে আমি কেবল কর্ম্মাধীন হইয়া পড়িলাম, তোমর সঙ্গে ত আর কোন সম্পর্ক রহিল না। এ যে নাস্তিক্য। এ যে দক্ষিণায়ন বৌদ্ধমত। কর্ম্মই কর্ম্মের প্রবর্ত্তক, পুরুষকারই কর্ম্মের কর্ত্তা;—এখানে এতদতিরিক্ত কর্ম্মাধিপের স্থান কোথায়? আর তাই যদি হয়, তবে কর্ম্ম যেমন পুরুষাধীন পুরুষও তেমনি কর্ম্মাধীন হইয়া পড়েন। কর্ম্ম পুরুষকে