পাতা:জেল-দর্পণ নাটক.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেল-দৰ্পণ । Q: কৰ্বে গেলে, তা কি হবে ? রাজা কেড়ে নিয়েছে, তার উপর আর কথা নেই। তারির মাস কতক পরেই লক্ষীবাইয়ের এক পুত্র হলে । সকল খপরের কাগজওয়ালার লিখলেন যে, লক্ষীবাইয়ের পুত্র কখনই রাজা হতে পারবে না । শেষে গবর্ণমেন্ট থেকে হুকুম জারি হলো, অবশ্য রাজ্যাধিকারী হইবে । তখন নিস্তার, লক্ষীবাইয়েরও বড়ে প্রাণ এলো আর খপরের কাগজওয়ালাদেরও মুখে চুণ কালি পড়লো। . তারিণী ! তুমি এসব কোথায় শুনলে । গোপাল । আর কোথায় শুনলে, আজ কালি যে খপরের কাগজ শস্ত হয়ে পড়েছে, এক পয়সা, দুই পয়সা বড় জোর চারি পয়সা দিলেই একখানি ভাল কাগজ পাওয়া যায়। তারিণী। আরো দুই একটা গপ কর, শুনা যাক। গোপাল । না বাবা, আমার গলা শুখিয়ে উঠেছে, এখন দুই চারিট ছিটে টানা যাক এস । তারিণী । সেই ভাল । ( উভয়েই গুলি খাইতে লাগিল ) গোপাল। বাতাসার জল দিয়ে নেসা বৰ্বে ভাল লাগেন । তারিণী। একটু সবুর করে বাবু আগে আশুন । কথায় বলে “সবুরে মেওয়া ফলে,, । গোপাল । আহা, কি জিনিস বাবা প্রাণট। ঠাণ্ড হলো । তারিণী। আমি আর দুই চারিট ছিটে টানি। গোপাল । ন না, মিছে বাজে নেসা করবে কেন । বাবু এলেই গণজা, দিশি ও বিলিতি ব্রাপ্তি সব রকম হবে এখন। ভরপুর নেসা করে বাড়ি যাব, আর মিছে কতকগুল ছিটে টানলে কি হবে ?