পাতা:জেল-দর্পণ নাটক.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেল-দৰ্পণ । 8(t দিন সন্ধ্যার সময় এই জেলে কয়েদির খেতে বসেছে, এক জন চিৎকার করে বললে আমার রুট কম হয়েছে, আমার ক্ষুধা নিবৃত্তি হয় নাই। বড় সাহেব।সেই কথা শুনতে পেলেন, রাধুনীকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। সাহেবের জোরতলপ—তার আর খাওয়া হল ন!—তাড়াতাড়ি উঠিয়। আদিতে হইল। সাহেব তাহাকে মারিমার জন্য হাত কামূঢ়াইতে লাগিলেন, এমন কি টিকটিকিতে বাধিবার বিলম্ব সইল না। একজনকে সেই রাধুনীর হাত ধরতে বলিলেন, আর একজনকে দশ, না পোনের বেত মারতে হুকুম হলো । গোপ। যাহা হউক, বড় সাহেবের ভাই তবে দয়া আছে, দেখনা কেন কয়েদিদের পেট না ভরলে র ধুনীকে ধরে মারলেন। তবু ভাল এখানে পেটের জ্বালায় অস্থির হতে হবে না। আমি যখন আলিপুরে ছিলেম, তখন এক বেলা খেতে পেতুম, এক বেলা হয় তো ধানে চেলে চারিটা দিত। বলব কি? ক্ষুদায় ইট পাটকেলে কামড় দিতুম। তার পর রাধুনী কি করলে ? পর। রাধুনী আর কি করবে ? কাদতে কাটুতে লাগলে। মাটিতে পড়ে ছটফট কৰ্ত্তে লাগলো। সাহেব তার যন্ত্রণার, পানে চেয়ে দেখলেন ন—অম্লান বদনে বললেন যাও খাও গে। সাহেব বড় দয়ালু কি না, সে খেতে বসেছিল, তার খাওয়া হয় নাই, সাহেব বেত মেরে ভুকুম দিলেন খাও গে । বাঙ্গাল একটা কথায় বলে কি “ গোড়া কেটে আগায় জল ” । বড় সাহেবেরও ঠিক তাই হলো !. গোপাল । তবু ভাল তোমাদের এখানকার সাহেব তো