পাতা:জেল-দর্পণ নাটক.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেল-দৰ্পণ । ○○ ভাব। আমার বোধ হয় তোমাকে ম্যালিরিয়াতে ধরেছে। ‘তারিণী। তা কি অগ্রাম হবে না ? মধু আরোগ্য হবে না কেন ? তবে কিনা কথা হচ্চে এখানে ততটা তদারক তে হয় না। রীতিমত তদারক করিলে শীঘ্র আরাম হয় । বিশেষ এখানে না খাট-ল তে গবৰ্ণমেন্ট বসিয়ে বসিয়ে খাওয়া দেবে না। খাটতে হবে চারি গুণ খেতে দেবে অৰ্দ্ধ গুণ | বিশেষতঃ সময়ে স্নান ও আহার হয় না, এতে কি ব্যারাম শীঘ্র আরোগ্য হয়। তারিণী । তবে কি করা যায় বল দিখিন ? মধু। তুমি ডাক্তারের সঙ্গে একটু ষড়যন্ত্র কর, তিনি সাট - ফিকেট দিলেই তোমাকে কাজ কর্তে দিব না, হাসপাতালে বেথে দিবে। চিকিৎসা হবে ভাল, সময়ে খেতে পাবে, সময়ে ঔষধ পাবে । তা হলে শীঘ্ৰ আবেগগ্য হতে পাববে। তারিণী। ডাক্তার কি আমাকে এত অনুগ্রহ করবেন ? মধু । তা একটু খোসামোদ করলে কি হবে না ? দেখ, মানুষকে দুই রকমে হস্তগত করা যায়, এক যদি অধিক পয়সা থাকে, তা হলে খোদামোদ করবাব আবশ্যক হয় না, এমন কি অন্য লোক এসে তাব উল্টে খোসামোদ করে । অপর যদি পয়সা না থাকে তা হলে হাতে পায়ে ধরতে হয়, জল উচু নিচু বলতে হয়, তবে মানুষকে হস্তগত করাঙ্ক। তোমার পয়সা নাই, কাজেই তোমাকে তাই কর্তে হবে । তারিণী। তা মধু দাদা, তুমি যদি কোন উপায় করে দাও । তুমি এত কালের বন্ধু শেষ সময়ে একটা যাহা হউক কিছু উপকার কর । আমি মরবার দাখিলে পড়েছি। বল