পাতা:জেল-দর্পণ নাটক.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 চতুর্থ অঙ্ক । কেষ্ট। বেষ্ট ৰেল বলেছ ; কিন্তু তোমার ও সকল কথ বলা আর দুর্ব রনে মুক্ত। ছড়ান একই কথা । বেষ্ট । আঃ আমার মাতাটা গরম হয়ে উঠেছে। জল তৃষ্ণাও পেয়েছে, একটু জল খাই । ( জলপান ও মাতায় জল দান ) কেন্ট। আমিও একটা বক্তৃত। কববে প্রতিশ্রুত হয়েছি, তৰে যাহা হউক একট পাগলামে করে ফেলি। হিঃ হিঃ ছিঃ ( হাস্য সহকারে গাত্ৰোথান ) হে রঙ্গবাসীগণ, তোমরা সুরাপান কব, তোমাদের পেটে প্লীহা, যকৃত, অগ্রমাস, কণসঁর, ঘণ্টা, পঞ্চপ্রদীপ রূপ পুত্ৰ জন্মিবে, তাহারাই তোমাদিগকে পাক অণবের মত চকল চকলা করে ছাড়িয়ে ভক্ষণ করবে। তোমাদের আর রঙ্গে মুখ দেখাইবার প্রয়োজন কি ? তোমরা অকাল কুযু্যাগুবৎ; তোমরা বঙ্গ মাতাকে অনাথিনী,—পাগলিনী,—ভিকারিনী,—কাঙ্গালিনী দেখিতেছ, তথাপি তাহার একটী কোন সদুপায় করিতেছ না। তোমাদেব মাতা বিজাতীয়ের দাসী, তোমাদের মাতা অনেক দিবসাবধি পরের দাসত্ব করিতেছে, তথাপি তোমরা একবার মুখ তুলিয়া চাহিয়া দেখ না। তোমরা লেখা পড়ার গর্ব কর, তোমরা সভ্য হষ্টয়াছ পথে পথে রলিয়। বেড়াও, তোমরা ধাৰ্ম্মিক হয়েছ বলিয়া ভাণ করিয়া বেড়াও । তোমা গ্নিকে ধিক তোমাদের জাত্যভিমানকে ধিক, তোমাদের লেখা পড়া শিক্ষণ করাকে ধিক। তোমরা না আর্য্য বংশে জন্ম গ্রহণ করেছ ? তোমরা না মেছুদিগকে ঘৃণা করিতে ? তোমরা না আৰ্য্য বংশীয় বলিয়া ভুবন বিখ্যাত তোমাদের