পাতা:জেল-দর্পণ নাটক.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেল-দৰ্পণ । 5 ভারিণী। কৈ না বাবা । গোপাল। বরদার নাম শুনেছ ? সেখানকার রাজা মলহার রেও ইংলিস রেসিডেন্ট কর্ণেল ফেয়ারকে বিষ খাওয়াইতে গিয়েছিলেন বলে ধরা পড়ে । তারপর অনেক মামলা মোকৰ্দমা হলো, রাজা বিলাত থেকে একজন ভাল বারিস্টার, তার নাম ব্যালান্টাইনকে দুই লক্ষ টাকা খরচ কোরে এনেছিলেন। ব্যালান্টাইন দিন রাত্রি ধরে বক্তৃত। কল্পে, তা কিছুতেই কিছু হলো না। ইংরাজদের গে। আর বুন সুয়ারের গে। একই রকম , এ যাবার নয়। রাজাকে কলে কৌশলে রাজ্যচুত করা হলে।। তারিণী । সে কি রকম, বল বল শুনা যাক। গোপাল। রেসিডেন্ট কর্ণেল ফেয়ার ভারি মজার লোক তার রাজা হবার ইচ্ছা হয়েছিল, সে ইংরাজ গবর্ণমেন্টের নিকট নালিস কল্পে যে, গুইকবার তাকে বিষ খাওয়াইতে গিয়াছিল। গবর্ণর জেনেরল লর্ড নৰ্থব্রুক বাহাদুর তাড়াতাড়ি এক প্রোক্লামেসন জারি কল্লেন, গুইকবারকে সিংহাসনচু্যত করে এক শিকলি দিয়ে বাধা হলে । ওদিকে কমিস্তান বসলে মোকৰ্দমা আর নিম্পত্তি হয় না, তিন জন এদেশীয় রাজ{ আর তিন জন ইংরাজ কমিস্তানের বিচারপতি হলেন । আর সার্জেন্ট ব্যালান্টাইন আদ জল খেয়ে বক্তৃত কৰ্বে লােগ - লেন। তা কিছুতেই কিছু হলো না। এখানকার মোকৰ্দমার রিপোর্ট বিলাতে পাঠান হলো । ষ্টেট সেক্রেটারী বল্লেন গুইকবারকে সিংহাসনচ্যুত করা হবে না। লাট সাহেব বল্লেন, গুইকবারকে যদি সিংহাসন দেওয়া হয়, তাহ হইলে