পাতা:জেল-দর্পণ নাটক.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেল-দৰ্পণ । ፃ ቅ শুনেছি সহস্ৰ সহস্ৰ অনাথাকে প্রত্যহ অন্ন দান করতেন, আমার স্বামীও শত শত দরিদ্র লোকক প্রত্যহ অন্ন দিয়েছেন। এখন আমি এক মুষ্টি অন্নের জন্য লালায়িত—বসনাভাবে গামছা পরিধান—দাসী অভাবে দাস্যবৃত্তি। ইহা অপেক্ষা মনুয্যের আর কি হইতে পারে ? আমি আর কত দিন আশা পথ নিরীক্ষণ করিয়া থাকিব । জগদীশ্বর, পরমপিতা পরমেশ্বর, অামাকে তোমার নিকট লয়ে যাও 《4 পোড়া মুখ আর লোকের নিকট দেখাতে চাহি না । স্বামীপ্রভু মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করবো , তোমার দোষ নাই, আমার পোড় অদৃষ্টের দোষ ! (ক্ৰন্দন ) ন', আর বৃথা ক্ৰন্দন করবো ন ; তার দাদার যাবার সময় হলো | কাল যে পত্র খানি লিখে রেখেছি, সেইখানি দিই। কি উত্তর লেখেন তারির আশায় রহিলাম। পত্র একবার পাঠ কবে দিই, যদি কিছু ভুল হয়ে থাকে। (পত্র পাঠ ) নাথ ! এ দাসী তোমার চরণ দর্শন আশায় আজিও জীবন ধারণ করে আছে, তা না হলে এতদিন পৃথিবী পরিত্যাগ করত । চাতক যেমন জলপান অtশয়ে উৰ্দ্ধে হা করিয়া বেড়ায়, এ দাসীও তদ্রুপ আপনার মুখচন্দ্র দেখিবে বলিয়। চাতকিনী হইয়া আছে । আমি তোমা বিহনে অনাথিনী পাগলিনী, কাঙ্গালিনী, ভিকারিনী হয়ে আছি। সুমাকে, আমার বলতে কেহই নাই । আমি মাসের মধ্যে পোনৈ", দিবস অনাহারে থাকি, তথাপি আমাকে জিজ্ঞাসা করবার কেহই নাই। নাথ, এদাসী এক মুষ্টি অন্নের জন্য লালায়িত হইয়াছে, একখানি বস্ত্রের জন্য কোপীন ধারণ করিতে