পাতা:জেল-দর্পণ নাটক.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেল-দৰ্পণ। " b○ বল্লেন ? বিরাজ তার আপনার হলে, আর আমি পর হলেম ? আমি মরে যাই, আর বেঁচে থাকি, তার তাতে লাভ নাই ক্ষতি ও নাই, তার বিরাজ বেঁচে থাকলেই হলো । (ক্ৰন্দন ) এ কথা শুনে আমার শরীর কাপচে, আমার বুক দুড় দুড় কচ্চে । একথা শুনে এখনও আমি মরি নাই কেন ? নিষ্ঠুর প্রাণ, তুই এই বিদীর্ণকর কথা শুনে এখনও এই পোডা দেহে রহেছিল। তোরেই ধিক ! তোর কি অভাগিনীকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছু করচে না ? ( ক্ৰন্দন ) বসন্ত দিদি, তুমি আমার মার পেটের বোনের মত, তুমি যদি আমাকে সুখী করতে চাও, তা হলে তারায়ার দিয়ে আমার মাতাকে দ্বিখণ্ড করে ফেল । আমার শরীর শীতল হউক, মন ধৈর্য্যাবলম্বন করুক, প্রাণ ঠাণ্ডু হউক । আমি আর মনের আগুণে জ্বলতে পারি না । ( মুচ্ছ1) বদন্ত । আহা, ছড়ির কি কষ্ট গা–একটু বাতাস করি ( তালবৃন্ত দ্বারা ব্যজন) তাই তো শিব বাবুর আজিও চৈতন্য হলো না ? তিনি কচি খোক নন যে ত্বারে বুঝাতে হবে । সে কি গো? ছিঃ ছিঃ ছিঃ । আর কিছু নয় ছুড়ি পাগল হয়ে গেল আর কি ! একে সুরর মুচ্ছৰ্শগত পীড়। আছে, তার উপর আবার এই কষ্ট, এই যাতন । সুর । দিদি, আমাকে বিদায় দাও–এ যাত্রা–তোমার নিকট আমার এই শেষ ভিক্ষা–তোমার নিকট যে অপরাধ করেছি, তাহা ক্ষমা কর— (ক্ৰন্দন ) বসন্ত । ছিঃ তুমি তো অবুঝ নহ। অমন সব পাগলামি করে। শিব বাবু রাগের মাতায় কি লিখেছেন, সেইটা কি