পাতা:জোসেফ্‌ ম্যাট্‌সিনি ও নব্য ইতালী.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ల প্ৰজা-সাধারণের সহানুভূতি সমাকৃষ্ট করিবার নিমিত্ত অধিনায়কদিগের প্রাণপণে যত্ন করা উচিত ছিল। প্ৰজাসাধারণের ‘ সহানুভূতি আকর্ষণ করার প্রধান উপায়, তাহাদিগের ট অকপুট ভাবে আপনাদিগের সমস্তু ভাব খুলিয়া বলা, কিন্তু তাহারা टों করিয়া রাজবৃন্দের অনুগ্রহভিখারী হইলেন এবং সেই জাতীয় অদ্ভুত্থানকে রাজসভার জটিল মন্ত্রণা জালে পায়ুৰ্য্যদন্ত করিা অপরকে কায্যে উত্তেজিত করিতে হইলে, অগ্রে আপনাদিগকে কাৰ্য্য করিতে হইবে; অপরের কাৰ্য্যকারী শক্তি উদ্দীপিত কহিতে হইলে, অগ্রে আপনাদিগের কাৰ্য্যকারী শক্তি দেখাইতে হইবে, অপরের মনে বিশ্বাঘের স্বভাব a বিশ্বাসী হইতে হইবে। কিন্তু তাহারা তাহার কিছুই করিলেন না। র্তাহাদিগের সকল কাৰ্য্যেই দুর্বলতা ও সন্দিগ্ধচিত্ততা-জনিত ভীতি পরিাব্যক্ত হইতে লাগিল। সুতরাং বিদ্রোহী প্ৰদেশ সকলে তঁহাদিগের প্রতি আবিশ্বাসের ভাব সঞ্চারিত হইতে লাগিল। গভীর হতাশ তার ভাব ইতালীর সমস্ত প্রদেশেই পরিব্যাপ্ত হইয়া পড়িল । বিদেশীয় গবৰ্ণমেণ্টের উপর ইতালী উদ্ধারের জন্য নির্ভর করার বিষময় ফল কাৰ্ব্বো ন্যারোগণ ক্ৰ মই উপভোগ করিতে লাগিছে না। ফ্রান্স অসন্দিগ্ধরূপে ঘোষণা করেন যে, তিনি কোন প্রকারেই বহিশচর রাজ্য সকলের কাৰ্য্যস্রোতের অন্তর্বত্তী হইবেন। নাJ 4श्रे ঘোষণা সত্ত্বেও ইতালীয় অভু্যুত্থানের অর্যাবুক্তি পূর্বে ইতালীর প্রভাশালী লোকগণ লাটুর মবাগ নামক লেপল্‌সস্থিত ইতালীর দুস্তর জোসেফ ম্যাট সিনি ও নব্য ইতালী নিকট এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া পাঠান যে ——“যদি ইতালীতে একটি জাতীয় বিপ্লব উপস্থিত হয় এবং তজ্জন্য ইতালীয়েরা অষ্ট্ৰীয়ার ভয়ঙ্কর কোপানলে পতিত হন, তাহা হইলে ফ্রান্স ইতালীর প্রতি কিরূপ ব্যবহার করিবেন।” দূত স্বহস্তে সেই পত্রেরই পার্শ্বদেশে লিখিয়া দেন, যে “যদি এই নবপ্রতিষ্ঠিত শাসনসমিতি, বিশৃঙ্খল আকার ধারণ না করেন, যদি তঁাহারা ইউরোপ-প্ৰচলিত সাধারণ নিয়মাবলীর ব্যতিক্রম" না করেন, তাহা হইলে ফ্রান্স অৰশ্যই এই বিপ্লবের সমর্থন করিবেন।” কিন্তু বিপ্লব উপস্থিত হইলে ফরাশী দূত অমানবদনে এই স্বহস্তেলিখিত প্ৰতিজ্ঞা পত্ৰ অস্বীকার করিলেন । ফ্রান্সের প্রতিনিধি সভার সভাপতি লাফেট, সুবিখ্যাত ইতিহাসলেখক গিজে, পররাষ্ট্র-বিভাগের মন্ত্রী এবং ডিউক অব ডালমেসিয়া প্ৰভৃতি সন্ত্রান্ত ব্যক্তিগণও মুক্তকণ্ঠে ব্যক্ত করিয়াছেন যে, ফ্রান্স বহিশচর রাজ্য সকলের কার্য্যস্রোতের অন্তৰ্ব্বৰ্ত্তী হইয়া প্রজাসাধারণের শান্তি হরণ করিবেন না বটে, কিন্তু যহিশচর রাজ্য সকলের প্রজাবৃন্দের স্বাধীনতা বিপদগ্ৰস্ত হইলে ফ্রান্স তাহাদিগকে অনুকূল হস্ত প্ৰদান করিতে সঙ্কুচিত হইবেন। না; স্বাধীনতার পরিরক্ষণ ও পরিবর্ধন সাধনই ফ্রান্সের রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য, উদাসীন থাকিয়াই হউক, আর লিপ্ত হইয়াই হউক, ফ্রান্স , তৎসাধনে কখনই ভীত বা বিমুখ হইবেন না । কিন্তু এই সকল আশ্বাসবাৰকা সময়ে কোনও ফল প্রসব করিল না। এই সকল আশ্বাসবাক্যে রিপ্লাির ♥ሣኮo። নায়কদিগের স্বভাবতই এরূপ বিশ্বাস জন্মিতে পারে যে, বিপদকালে ফরাশিরাজ লুই ফিলিপ