জ্ঞাতি-শত্রু।
২১
সাধনের মৃতদেহ দেখিয়াছিলেন, তখন কি বুঝিয়াছিলেন বলিতে পারি না। কিন্তু আমার অনুরোধে তিনি দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করিয়া অতি গম্ভীরভাবে বলিলেন, “আপনার অনুমান সত্য বলিয়া বোধ হইতেছে। পূর্ব্বে অন্যরূপ বুঝিয়াছিলাম, কিন্তু এখন আমারও বিশেষ সন্দেহ হইতেছে। ডাক্তারের সার্টিফিকেট পাইলেও আমি এ দেহ সৎকারের হুকুম দিতে পারিব না। ইহাকে পরীক্ষা করিতেই হইবে।”
আমিও সেইরূপ পরামর্শ দিলাম। তখন রেজিষ্ট্রার সেই মৃতদেহ পরীক্ষার জন্য হাঁসপাতালে পাঠাইয়া দিলেন। আমিও আর সেখানে কালবিলম্ব না করিয়া রেজিষ্ট্রারের নিকট বিদায় লইলাম এবং শক্তিসাধনকে লইয়া শ্মশান হইতে বহির্গত হইলাম। পথে শক্তিসাধনের বাসার সন্ধান জানিয়া লইয়া তাহাকে বিদায় দিয়া আমি একাই হাঁসপাতালের দিকে গমন করিলাম।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ
পদব্রজে গমন করিবার পর আমি চিৎপুর রোডে আসিয়া ট্রামের জন্য অপেক্ষা করিতে লাগিলাম। এমন সময়ে হরিসাধন বাবুর কয়েকজন আত্মীয় ঘাট হইতে বাড়ীতে ফিরিতে ছিলেন দেখিতে পাইলাম। যদিও তাঁহারা আমারই পার্শ্ব দিয়া গমন করিলেন, তত্রাপি তাঁহারা আমাকে দেখিতে পাইলেন না।
আমি দেখিলাম, তাঁহারা সকলেই বিষণ্ণ, কেবল একজন শক্তি-