সাধনের নাম করিয়া কি বলিতে বলিতে যাইতেছিলেন। শক্তিসাধনের নাম শুনিয়া আমার সন্দেহ হইল। আমি দূরে থাকিয়া তাঁহাদের পশ্চাদনুসরণ করিতে লাগিলাম।
কিছুদূর যাইতে না যাইতে তিনি বলিলেন, “এ শক্তিরই কাজ। যে লোক ব্রাহ্মণের সন্তান হইয়া সামান্য বাগ্দিনীর হাতে ভাত খাইতে পারে, তাহার অসাধ্য কি?”
তাহার কথা শেষ হইতে না হইতে অপর ব্যক্তি বলিলেন, “না—না, অমন কথা মুখে আনিও না। যে ব্যক্তি দাদার অনুগত, দাদার অন্নে প্রতিপালিত, এত অত্যাচার উৎপীড়ন করিলেও যে দাদা আপন সন্তানের ন্যায় ভালবাসিতেন, সে লোক কেন সহসা সেই দাদাকে হত্যা করিবেন। নিজের পায়ে নিজে কেন কুঠার মারিবেন?”
প্রথম ব্যক্তি উত্তর করিলেন, “আমি সেকথা বলি নাই। আমি বলিতেছি যে, শক্তিসাধন রসময় বাবুর উপর অত্যন্ত বিরক্ত। তিনি অন্যায় করিয়া রসময়ের উপর সন্দেহ করিয়া এ কার্য্য করিয়াছেন।”
দ্বিতীয় ব্যক্তি শশব্যস্তে জিজ্ঞাসা করিলেন, “সত্য না কি?”
প্র। আমি যখন ডাক্তারের সার্টিফিকেট আনিতে বাড়ীতে ফিরিয়া গিয়াছিলাম, তখন সেই পুলিসকর্ম্মচারীর মুখে শুনিলাম যে, শক্তি রসময় বাবুর নামে বৃথা সন্দেহ করিয়া এই অভিযোগ করিয়াছেন।
দ্বি। যদি ইহা সত্য হয়, তাহা হইলে উভয়ের পক্ষেই বড় ভাল হইবে না। পুলিস সহজে ছড়িবে না।
প্র। যদি হরি বাবুর মৃতদেহ পরীক্ষা করিয়া সেরূপ সন্দেহ