আমার প্রশ্নে যুবক যেন চমকিত হইলেন। আমি তাঁহার মনোগত উদ্দেশ্য ভাল বুঝিতে পারিলাম না। কিন্তু তিনি তখনই আত্মসম্বরণ করিয়া বলিলেন, “আজ্ঞে না, দাহকার্য্য বোধ হয় এখনও হয় নাই। তবে মৃতদেহ ঘাটে লইয়া গিয়াছে।”
আ। কোন্ ঘাটে?
যু। কাশী মিত্রের ঘাটে।
আমি আর কোন কথা জিজ্ঞাসা করিয়া তখনই কাশীমিত্রের ঘাটের রেজিস্ট্রারকে টেলিফোন করিলাম। জিজ্ঞাসা করিলাম, “হরিসাধন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে কোন ভদ্রলোকের মৃতদেহ তীরস্থ করা হইয়াছে কি না? যদি হইয়া থাকে, তাহা হইলে তাহার দাহকার্য্য আরম্ভ হইয়াছে কি না?”
উত্তরে রেজিষ্ট্রার বলিলেন, “লাস তীরস্থ হইয়াছে। দাহকার্য্য আরম্ভ হয় নাই, উদ্যোগ হইতেছে।”
আমি পুনরায় টেলিফোনের সাহায্যে তাঁহাকে মৃতদেহ দাহ করিতে অনুমতি দিতে নিষেধ করিলাম কিন্তু যুবককে কোন কথা বলিলাম না।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।
এই সকল কার্য্য শেষ করিয়া আমি যুবকের সহিত তাঁহার বাড়ী যাইতে প্রস্তুত হইলাম; এবং তাঁহার সহিত সেই ভাড়াটিয়া গাড়ীতে আরোহণ করিলাম। কোচমান শকট চালনা করিল।