পাতা:জ্ঞানদীপিকা - পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ so J তথাপি শালগ্রামে নিত্য অৰস্থান এ জন্য সেই যন্ত্রই উপসনার স্থল শাস্ত্র ইহা উক্ত করেন । পুনশ্চ বেদান্তমুত্র । । উদাসীনানামুপিচৈবংসিদ্ধিঃ। । যদি অভাব হইতে ভাবোৎপত্তি হয় তবে উদাসীন অনীহমান অর্থাৎ সৰ্ব্ব চেষ্টা শূন্য জনদিগেরও অভিমত সিদ্ধ কেন না হয়, কারণ অভাবের সুলভ প্রমুক্ত কোন চেষ্টার অবশ্যক নাই । - কি আশ্চর্য্য ! কাৰ্য ব্যতীত ক্ষলোৎপত্তি কদাচই সম্ভবে না । এ স্থলে নিরাকার ভাবণ তীত পদার্থে ধ্যান ধারণ দি উপাসনা কাৰ্য শান্ত্রিত যুক্তি ত অসঙ্গত হইতেছে । ছে মহাশয়! কৃষকদিগের ক্ষেত্র কর্মের যত্নাভাৰে শস্য কি ! উৎপন্ন ছয় । কুম্ভকারের মৃত্তিক সংস্কারাদির অযত্নে ঘটদি কি উৎপন্ন হয় তন্তুবায়দিগের তদ্রুপ যত্নভাবে বস্তুদি কি লভ্য হয়, অতএব বক্তব্য এই যে যখন কোন একটা ফল কৰ্ম্ম ব্যতীত লাভ না হওয়া স্পষ্ট দেখা যাইতেছে তখন উপাসনা কৰ্ম্ম ব্যতীত পরমেশ্বরের অনুকম্পা লাভ কদাচ হইতে পারে না। সুতরাং নিরাকারে সাধনাদির অযোগ্যতা মতে স্বর্গ ও অপবর্গ কদাপি হইতে পারে না। ভাৰ ব্যতীত অভাৱ পদার্থ অনৰ্থক যেহেতু ভাবের অবিদ্যমানতাতে অভাব বক্তব্য হয়, এ বিধায় অভাবের বস্তু ংজ্ঞা মিথ্যা যেমন তেজ ও অন্ধকার অর্থাৎ অন্ধকার পদার্থ নছে শুদ্ধ তেজোভাগের অভাবের নাম অন্ধকার । ভদ্রুপ ঈশ্বরের তিরোভাবের নাম নিরাকার, সুতরাং নিরাকারকে অভাব পদার্থ বলিয়া ব্যাখ্যা করে এতৎ জন্য শরীরের রক্ত