পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । করিতে প্রবর্তিত হইয়া থাকি, তিনি সেই কাৰ্য্য অন্ত অভিসন্ধিতে করিতে পারেন। সুতরাং ঐ সকল প্রাচীন ধৰ্ম্ম বিচার করিবার সময়, আমরা যে ভাবে অপরের সম্বন্ধে বিচার করিয়া থাকি, সেরূপ ভাবে যেন বিচারে অগ্রসর না হই; কিন্তু আমরা যেন সেই প্রাচীন কালের চিন্তাপ্রণালীর ভাবে আপনাদিগকে ভাবিত করিয়া বিচার করি। ওল্ড টেষ্টামেন্টের নিষ্ঠুর জিহোভার বর্ণনায় অনেকে ভীত হইয়া থাকেন ; কিন্তু ভীত হইবার কারণ কি ? লোকের ইহা কল্পনা করিবার কি অধিকার আছে যে, প্রাচীন য়াহুদীদিগের জিহোভা আজকালকার ঈশ্বরের মত হইবেন ? আবার ইহাও আমাদের বিস্তৃত হওয়া উচিত নয় যে, আমাদের পরে যাহার আসিবেন, তাহার, আমরা যে ভাবে প্রাচীনদের ধৰ্ম্ম বা ঈশ্বরের ধারণায় হাস্ত করিয়া থাকি, আমাদের ধৰ্ম্ম বা ঈশ্বরের ধারণায়ও সেইভাবে হান্ত করবেন। তাহা হইলেও এই সকল বিভিন্ন ঈশ্বর-ধারণার মধ্যে সংযোগসাধক এক স্থূর্ণ স্বত্র বিদ্যমান, আর বোন্তের উদ্বেগু—এই স্বত্র আবিষ্কার কীt ঐকৃষ্ণ বলিয়াছেন, —ভিন্ন ভিন্ন মণি যেমন একস্থত্রে গ্রথিত, সেইরূপ এই সকল বিভিন্ন ভাবের ভিতরেও এক স্বত্র রহিয়াছে। আর আধুনিক ধারণানুসারে সেগুলি যতই বীভৎস, ভয়ানক বা স্থগিত বলিয়া প্রতীয়মান হউক না কেন, বেদান্তের কর্তব্য—ঐ সকল ধারণা এবং বর্তমান ধারণাসকলের ভিতর এই সংযোগ্যত্র আবিষ্কার করা। ভূতকালের অবস্থা লইয়া বিচার করিলে সেগুলি বেশ সাত দেখা, আর বোধ হয়, আমাদের বর্তমান ধারণাসকল হইতে সেগুলি مياه لا