পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া ও ঈশ্বরধারণার ক্রমবিকাশ । উল আমার মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ ভ্রম হইতে পারে। আমি হয়ত কেবল স্বপ্ন দেখিতেছি মাত্র। আমি স্বপ্ন দেখিতেছি, আমি তোমাদের সঙ্গে কথা কহিতেছি, আবার তোমরা আমার কথা শুনিতেছ। কেহই ইহার বিপরীত প্রমাণ করিতে পারেন না । “আমার মস্তিষ্ক’ ইহাও একটী স্বপ্ন হইতে পারে, আর বাস্তবিকও ত কেহ নিজের মস্তিষ্ক কখন দেখে নাই। আমরা উহা কেবল মানিয়া লইতেছি মাত্র । সকল বিষয়েই এইরূপ । আমার নিজের শরীরও আমি মানিয়া লইতেছি মাত্র। আবার আমি জানি না, তাহাও বলিতে পারি না। জ্ঞান ও অজ্ঞানের মধ্যে এই অবস্থান, এই রহস্যময় কুহেলিকা—এই সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ —কোথায় মিশিয়াছে, কে জানে ? আমরা স্বপ্নের মধ্যে বিচরণ করিতেছি, অৰ্দ্ধনিদ্রিত, অৰ্দ্ধজাগরিত—সারা জীবন এক কুহেলিকায় আবদ্ধ-ইহাই আমাদের প্রত্যেকেরই দশা ! সব ইঞ্জিয়জ্ঞানের ঐ দশা। সকল দর্শনের, সকল বিজ্ঞানের, সকল প্রকার মানবীয় জ্ঞানের-যাহাদিগকে লইয়া আমাদের এত অহঙ্কার, তাহাদেরও এই দশা—এই পরিণাম । ইহাই ব্ৰহ্মাণ্ড । 4. ভূতই বল, আত্মাই বল, মনই বল, আর যাহাই বল না কেন, যে কোন নামই উহাকে দাও না কেন, ব্যাপার এই একই— আমরা বলিতে পারি না, উহাদের অস্তিত্ব আছে, বলিতে পারি ন যে, উহাদের অস্তিত্ব নাই। আমরা উহাদিগকে একও বলিতে পারি না, আবার বহুও বলিতে পারি না। এই আলো-আঁধারে খেলা—এই নানাবিধ দুৰ্ব্বলতা—অবিবিক্ত, অপৃথকৃ, অবিভাজ্যইহাতে সমুদয় ঘটনাকে একবার সত্য বলিয়া বোধ হইতেছে,আবার >>@