পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া ও মুক্তি । কিন্তু ও সম্বন্ধে মোটেই ভাবিও না। যাবজীবেং সুখং জীবেং স্বাণং কৃত্ব স্থতং পিবেৎ। দুঃখ আছে বটে, কিন্তু ওদিকে নজর দিও না। যা একটু আধটু মুখ পাও, তাহ ভোগ করিয়া লও, এই সংসারচিত্রের ছায়াময় অংশের দিকে লক্ষ্য করিও না--কেবল আলোকময় অংশের দিকেই লক্ষ্য করিও।” এই মতে কিছু সত্য আছে বটে, কিন্তু ইহাতে ভয়ানক বিপদাশঙ্কাও আছে। ইহার মধ্যে সত্য এইটুকু যে, ইহাতে আমাদিগকে কার্ঘ্যে প্রবৃত্ত রাখে। আশা এবং এইরূপ একটা প্রত্যক্ষ আদর্শ আমাদিগকে কার্গ্যে প্রবৃত্ত ও উৎসাহিত করে বটে, কিন্তু উহাতে এই এক বিপদ আছে যে, শেষে হতাশ হইয়া সব চেষ্টা ছাড়িয়া দিতে হয়। যাহারা বলেন,— “সংসারকে যেমন দেখিতেছ, তেমনই গ্রহণ কর ; যতদূর স্বচ্ছদে থাকিতে পার, থাক ; দুঃখকষ্ট সমুদয় আসিলেও তাহাতে সন্তুষ্ট । থাক ; আঘাত পাইলে বল—উছার আঘাত নহে, পুষ্পবৃষ্টি ; দাসবৎ পরিচালিত হইলেও বল-আমি মুক্ত, আমি স্বাধীন; অপরের নিকট এবং নিজের নিকট ক্রমাগত মিথ্যা কথা বল, কারণ, সংসারে থাকিবার-জীবনধারণ করিবার ইহাই একমাত্র উপায়,”—তাহদিগকে বাধ্য হইয় অবশেষে ইহা করিতে হয়। ইহাকেই পাকা সাংসারিক জ্ঞান বলে, আর এই উনবিংশ শতাব্দীতে এই জ্ঞান যত সাধারণ, কোন কালে উহা এত সাধারণ ছিল না; ভাঙ্গার কারণ এই—লোক এখন যেমন তীব্র আঘাত পাইঞ্জ থাকে, কোন কালে এত তীব্র আঘাত পাইত না, প্রতিদ্বস্থিতাও কখন এত অধিক তীব্র ছিল না ; মাহুৰ এক্ষণে তাছার অপর ভ্রাতার প্রতি মহস্ট্রি,তুহু কখন ছিলনা, আর এইজনাই এনল এই গান