পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । ‘আমার ঈশ্বর তোমার অতি নিকটে, বেদান্তীর পক্ষেও এই স্তুতি খাটিবে, তিনি কেবল একটা শব্দ পরিবর্তন করিয়া বলিবেন,— *আমার ঈশ্বর আমার অতি নিকটে। আমাদের চরম পথ যে আমাদের অনেক দূরে, প্রকৃতির অতীত প্রদেশে, আমরা যে তাহার নিকট ক্রমশঃ অগ্রন্থর হইতেছি, এই তফাত তফাত ভাৰকে ক্রমশঃ আমাদের নিকটবৰ্ত্ত করিতে হইবে, অবশু আদর্শের পবিত্রতা ও উচ্চতা বজায় রাখিয়া ইহা করিতে হইবে। যেন ঐ আদর্শ ক্রমশঃ আমাদের নিকট হইতে নিকটতর হইতে থাকে—অবশেষে সেই স্বৰ্গস্থ ঈশ্বর যেন প্রকৃতিস্থ ঈশ্বররূপে উপলব্ধ হন, শেষে যেন প্রকৃতিতে এবং সেই ঈশ্বরে কোন প্রভেদ না থাকে, তিনিই যেন এই দেহমন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবতারূপে, অবশেষে এই দেহমন্দিরক্ষপেই পরিজ্ঞাত হন, তাহাকেই যেন শেষে জীবাত্মা ও মানুষ বলিয়া পরিজ্ঞাত হওয়া যায়। এইখানেই বেদান্তের শেষ কথা । যাহাকে ঋষিগণ বিভিন্ন স্থানে অন্বেষণ করিতেছিলেন, তাহাকে এতক্ষণে জানা গেল। বেদান্ত বলেন, —তুমি যে বাণী শুনিয়াছিলে, তাহ সত্য, তবে তুমি উহ। শুনিয়া ঠিক পথে পরিচালিত হও নাই। ষে মুক্তির মহা আদর্শ তুমি অনুভব করিয়াছিলে, তাহ সত্য বটে, কিন্তু তুমি উহ বাহিরে অন্বেষণ করিতে গিয়া ভুল করিয়াছ। ঐ ভাবকে তোমার খুব নিকটে নিকটে লইয়া আইস, যত দিন না তুমি জানিতে পার যে, ঐ মুক্তি, ঐ স্বাধীনতা তোমারই ভিতরে, উহা তোমার আত্মার অন্তরাত্মাস্বরূপ। এই মুক্তি বরাবরই তোমার স্বরূপই ছিল, এবং মায়া তোমাকে কখনই আক্রমণ করে নাই। এই প্রকৃতি কখনই 388