পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । যখন আমরা বলি, ব্রিহ্মের উপর কোন শক্তি কাৰ্য্য করিল ? তখন আমরা এই ভুল করি যে, ব্ৰহ্মকে জগতের সামিল কোন বস্তুর স্তায় মনে করিয়া বসি । এই প্রশ্ন করিতে গেলেষ্ট আমাদিগকে অনুমান করিতে হইবে যে, সেই ব্ৰহ্মও অপর কিছুর অধীন—সেই নিরপেক্ষ ব্রহ্মসত্তাও অপর কিছুর দ্বারা বদ্ধ । অর্থাৎ 'ব্ৰহ্ম’ বা ‘নিরপেক্ষ মত্তা’ শব্দটকে আমরা জগতের স্তর মনে করিতেছি। পূৰ্ব্বেক রেখার উপরে ত আর দেশকালনিমিত্ত নাই, কারণ, উহা একমেবাদ্বিতীয়ং, মনের অতীত। ঘাই কেবল নিজের অস্তিত্বে নিজে প্রকাশিত, যাহা একমাত্র, একমেবাদ্বিতীয়ুং, তাহার কোন কারণ থাকিতে পারে না । যাহা মুক্তস্বভাব-স্বতন্ত্র, তাহার কোন কারণ থাকিতে পারে না, কারণ, তাহা হইলে তিনি মুক্ত হইলেন না, বদ্ধ হইয়া গেলেন। যাহার ভিতর আপেক্ষিকতা আছে, তাহা কখন মুক্তস্বভাব হইতে পারে না। অতএব তোমর দেখিতেছ, অনন্ত সান্ত কেন হইল, এই প্রশ্নই ভ্ৰমাত্মক-- উহ। স্ববিরোধী । এই সব সূক্ষ্ম বিচার ছাড়িয়া দিয়া সাদাসিদে ভাবেও আমর এ বিষয় বুঝাইতে পারি। মনে কর, আমরা বুঝিলাম, ব্ৰহ্ম কিরূপে জগৎ হইলেন, অনন্ত কিরূপে সান্ত হইলেন, তাহা হইলে ব্ৰহ্ম কি ব্ৰহ্মই থাকিকেন—অনন্ত কি অনন্তই থাকিবেন ? তাত হইলে ত অনন্ত সান্তই হইয় গেলেন । মোটামুটি আমরা জ্ঞান বলিতে কি বুঝি ? যে কোন বিষয় আমাদের মনের বিষয়ীভূত হয়, অর্থাৎ মনের দ্বারা সীমাবদ্ধ হয়, তাহাই আমরা জানিতে (te