পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম ও জগৎ { দেশকালের উপর নির্ভর করিতেছে। এই দেশকালনিমিত্ত’ সকল গুলিরই ভিতর বিশেষত্ব এই যে, উহাদের স্বতন্ত্র সত্তা নাই। এই চেন্নারখানা বা ঐ দেয়ালটার যেরূপ অস্তিত্ব আছে, উহাদের তাহাও নাই। ইহারা যেন সকল বস্তুরই পশ্চাদ্দেশস্থ ছায়াস্বরূপ, তুমি কোনমতে উহাদিগকে ধরিতে পার না। উহাদের ত কোন সত্তা নাই—আমরা দেখিলাম, উহাদের বাস্তবিক অস্তিত্বই নাই— বড় জোর না হয় ছায় । আবার উহার যে কিছুই নয়, তাহাও বলিতে পারা যায় না ; কারণ, উহাদেরই ভিতর দিয়া জগতের প্রকাশ হইতেছে—ঐ তিনটী যেন স্বভাবতঃ মিলিত হইয়া নানা রূপ প্রসব করিতেছে। অতএব আমরা প্রথমতঃ দেখিলাম, এই দেশকালনিমিত্তের সমষ্টির অস্তিত্বও নাই এবং উহার একেবারে অসংও (অস্তিত্বশূন্ত) নহে। দ্বিতীয়ত, উছারা আবার এক সময়ে একেবারে অন্তর্হিত হইয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ সমুদ্রের তরঙ্গ সম্বন্ধে চিস্ত কর। তরঙ্গ অবগুই সমুদ্রের সহিত অভিয়, তথাপি আমরা উহাকে তরঙ্গ বলিয়া সমুদ্র কষ্টতে পৃথকৃরূপে জানিতেছি। এই বিভিন্নতার কারণ কি ?--নামরূপ। নাম অর্থাৎ সেই বস্তুসম্বন্ধে আমাদের মনে যে একটী ধারণা রহিয়াছে ; আর, রূপ অর্থাৎ আকার। আবার তরঙ্গকে সমুদ্র হইতে একেবারে পৃথকৃ রূপে কি আমরা চিন্তা করিতে পারি ? কখনই না । উহা সকল সময়েই ঐ সমুদ্রের ধারণার উপর নির্ভর করিতেছে। যদি ঐ তরঙ্গ চলিয়া যায়, তবে রূপও অস্তৰ্হিত হইল, কিন্তু ঐ রূপটা যে একেবারে ভ্ৰমাত্মক ছিল, তাহা নহে। যতদিন ঐ তরঙ্গ ছিল, তত দিন ঐ রূপটা ছিল এবং তোমাকে বাধ্য হইয়া ঐ রূপ দেখিতে Sto.