পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । দূর করিতে হইবে। আমি এরূপ বলিতেছি না যে, এই দুৰ্ব্বলতা শুধু এই দেশেই (ইংলণ্ডেই ) বিদ্যমান—ইহা সকল দেশেই আছে, আর আমাদের দেশে যেমন, আর কোথাও তেমন নছে- তথায় ইল অতি ভয়ানক আকার্তেমান হিয়াছে। তথা আতৈ বাদ কথন সাধারণ লোকের মধ্যে প্রচারিত হইতে দেওয়া হয় নাই, সন্ন্যাসীরাই অরণ্যে উহার সাধনা করিতেন, সেই জন্যই বেদান্তের এক নাম হইয়াছিল ‘আরণ্যক” । অবশেষে ভগবৎকৃপায় বুদ্ধদেব আসিয়া আপামর সাধারণের ভিতর উহা প্রচার করিলেন, তখন সমস্ত জাতি বৌদ্ধধৰ্ম্মে জাগিয়া উঠিল। অনেকদিন পরে আবার যখন নাস্তিকের সমুদয় জাতিকে একেবারে ধ্বংস করিয়া ফেলিবার উপক্রম করিল, তখন জ্ঞানীরা একমাত্র এই ধৰ্ম্মকেই ভারতের এই নাস্তিকতান্ধকার মোচনের একমাত্র উপায় দেখিলেন। দুইবার উহ! ভারতকে নাস্তিকত হইতে রক্ষা করিয়াছিল। প্রথম, বুদ্ধদেবের আবির্ভাবের ঠিক পূৰ্ব্বে নাস্তিকতা অতি প্রবল হইয়াছিল—ইউরোপ আমেরিকার পণ্ডিতমণ্ডলীর মধ্যে এখন যেরূপ নাস্তিকতা, সেরূপ নাস্তিকতা নহে ; উহা হইতে অনেক জঘন্ত নাস্তিকতা । আমি এক প্রকারের নাস্তিক ; কারণ, আমার বিশ্বাস—একমাত্র পদার্থেরই অস্তিত্ব আছে। আধুনিক বৈজ্ঞানিক নাস্তিকও তাই বলেন, তবে তিনি উহাকে ‘জড়’ আখ্যা প্রদান করেন, আমি উহাকে ‘ব্ৰহ্ম’ বলি। এই ‘জড়বাদী’ নাস্তিক বলেন, এই ‘জড়’ হইতেই মানুষের আশা ভরসা ধৰ্ম্ম সবই আসিয়াছে। আমি বলি, ব্ৰহ্ম হইতে সমুদয় হইয়াছে। আমি এরূপ নাস্তিকতার কথা বলিতেছি না, আমি চাৰ্ব্বাকের মতের কথা \శి