পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । ইউরোপেও আজকাল ঠিক সেই অবস্থা উপস্থিত। এই নাস্তিকগণের মুক্তির জন্ত—তাহারা যাহাতে বিশ্বাস করে তজ্জন্ত তোমর। জগৎ জুড়িয়া প্রার্থনা করিতে পার, কিন্তু তাহার। বিশ্বাস করিলে না ; তাহারা যুক্তি চায়। সুতরাং ইউরোপের মুক্তি এক্ষণে এই বিচারপুত ধৰ্ম্ম-অদ্বৈতবাদের উপর নির্ভর করিতেছে ; আর একমাত্র এই অদ্বৈতবাদ, এই নিগুণ ব্রহ্মের ভাবই পণ্ডিতদিগের উপর প্রভাব বিস্তার করিতে সমর্থ। যখনই ধৰ্ম্ম লুপ্ত হইবার উপক্রম হয়, এবং অধৰ্ম্মের অভু্যত্থান হয়, তখনই ইহার আবির্ভাব হইয়া থাকে। এই জন্যই ইউরোপ ও আমেরিকায় ইহা প্রবেশ লাভ করিয়া দৃঢ়মূল হইতেছে। কেবল উহাতে একটা জিনিস যোগ দিতে হইবে । প্রাচীন উপনিষদগুলি অতি উচ্চ কবিত্বপূর্ণ; এই সকল উপনিষদ্ধক্ত ঋষিগণ মহাকবি ছিলেন । তোমাদের অবশ্য স্মরণ থাকিতে পারে যে, প্লেটে বলিয়াছেন-কবিত্বের ভিতর দিয়াই জগতে অলৌকিক সত্যের প্রকাশ হইয়া থাকে। উপনিষদের ঋষিগণকে কবিত্বের মধ্য দিয়া উচ্চতম সত্যসকল জগৎকে দিবার জন্য বিধাতা ষেন ইহাদিগকে সাধারণ মানব হইতে বহু উচ্চ পদবীতে আরূঢ় কবিরূপে স্মৃষ্টি করিয়াছিলেন । তাহারা প্রচারও করিতেন না, অথবা দার্শনিক বিচারও করিতেন না, অথবা লিখিতেনও না। র্তাহাদের হৃদয়-উৎস হইতে সঙ্গীতের ফোয়ার বহিত। তার পর বুদ্ধদেবে আমরা দেখি–হৃদয়, অনন্ত সহগুণ— তিনি ধৰ্ম্মকে সৰ্ব্বসাধারণের উপযোগী করিয়া প্রচার করিলেন। অসাধারণ ধীশক্তিসম্পন্ন শঙ্করাচাৰ্য্য উহাকে জ্ঞানের প্রখর 98\כ