পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ ছিল, তখন কে এই জগৎ স্বজন করিল ? কেমন করিয়াই বা করিল ? কে এই রহস্ত জানেন ? বৰ্ত্তমান সময় পৰ্য্যন্ত এই প্রশ্ন চলিয়া আসিয়াছে। লক্ষ লক্ষ বার ইহার উত্তরের চেষ্টা হইয়াছে, কিন্তু আবার লক্ষ লক্ষ বার উহার উত্তর দিতে হইবে। ঐ প্রত্যেক উত্তরই যে ভ্রমপূর্ণ, তাহা নহে। প্রত্যেক উত্তরে । কিছু না কিছু সত্য আছে—কালের আবৰ্ত্তনের সঙ্গে সঙ্গে ঐ সত্যও ক্রমশঃ বল সংগ্ৰহ করিবে । আমি ভারতের প্রাচীন দার্শনিকগণের নিকট ঐ প্রশ্নের যে উত্তর সংগ্ৰছ করিয়াছি, বৰ্ত্তমান মানবজ্ঞানের সহিত মিলাইয় তাহা আপনাদের সমক্ষে স্থাপনের চেষ্টা করিব । আমরা দেখিতে পাই, এই প্রাচীনতম প্রশ্নের কতকগুলি বিষয় পুৰ্ব্ব হইতেই জ্ঞাত ছিল। প্রথম এই,—“যখন অস্তি নাস্তি কিছুই ছিল না,” এই প্রাচীন বৈদিক বাক্য হইতে প্রমাণিত হইতেছে যে, এক সময়ে যে জগৎ ছিল না--এই গ্রহ জ্যোতিক্ষগণ, আমাদের জননী ধরণী, সাগর মহাসাগর, নদী, শৈলমালা, নগর, গ্রাম, মানবজাতি, ইতরপ্রাণী, উদ্ভিদ, বিহঙ্গম, এই অনন্ত বহুধা স্বষ্টি, এসকল যে এক সময়ে ছিল না-এ বিষয় পূৰ্ব্ব হইতেই পরিজ্ঞাত ছিল। আমরা কি এ বিষয়ে নিঃসন্দিগ্ধ ? কি করিয়া এই সিদ্ধান্ত প্রাপ্ত হওয়া গেল, তাহ আমরা বুঝিতে চেষ্টা করিব। মাস্থ্য আপন চতুর্দিকে দেখে কি ? একটা ক্ষুদ্র উদ্ভিদ লও। মাস্থ্য দেখে, উদ্ভিদটা ধীরে ধীরে মাটী ঠেলিয় উঠতে থাকে, শেষে বাড়িত্বে বাড়িতে অবশেষে হয়ত একটা প্রকাও বৃক্ষ হইয়া - ১৭৩