পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া । আমাদের হৃৎপিণ্ডের প্রত্যেক স্পন্দন, প্রত্যেক নিঃশ্বাসের সহিত আমাদিগকে স্বার্থপর হইতে আদেশ করিতেছে। অপরদিকে এক অমান্থী শক্তি বলিতেছে যে, নিঃস্বার্থতাই একমাত্র মঙ্গলকর। জন্মাবধি প্রত্যেক বালকই মুখাশাবাদী (optimist ); সে ੇਸ਼ মুখের স্বপ্নই দর্শন করে। যৌবনসময়ে সে অধিকতর মুখাশাবাদী হয়। মৃত্যু, পরাজয় বা অপমান বলির কিছু আছে. ইহ কোন যুবকের পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন। বৃদ্ধাবস্থা আসিল জীবন একটা ধ্বংসরাশি হইয়াছে, মুখস্বপ্ন আকাশে বিলীন হইয়াছে ; বৃদ্ধ নিরাশাবাদ অবলম্বন করিয়াছে। এইরূপে আমরা প্রকৃতিতাড়িত হইয়া আশাশ্বন্ত, অন্তশূন্ত, সীমা ও গন্তব্যজ্ঞানপরিশুম্ভের স্তায় এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্তে ধাবিত হইতেছি। ললিতবিস্তরে লিখিত বুদ্ধচরিতের একটা প্রসিদ্ধ সঙ্গীত এ সম্বন্ধে আমাদের স্মরণ হয়। এইরূপ বর্ণিত আছে, বুদ্ধদেব মানবের পরিত্রাতারূপে জন্ম পরিগ্রহ করেন, কিন্তু তিনি রাজবাটীর বিলাসিতায় আত্মবিশ্বত হওয়াতে, তাহার প্রবোথার্থ এছুক্ষগণ কর্তৃক একটা সঙ্গীত গীত হইয়াছিল। সে সঙ্গীতের Aীর্ণ এইরূপ,—“আমরা স্রোতে ভাসিয়া যাইতেছি, অবিরত পরিবৰ্ত্তিত হইতেছি—নিবৃত্তি নাই, বিরাম নাই।” এইরূপ আমাদের জীবন বিরাম জানে ন—অবিরতই চলিয়াছে। এখন উপায় কি ? যাহার অন্নপানের প্রাচুর্ঘ্য বিদ্যমান, তিনি মুখাশবাদী হইয় বলেন, “ভীতিকর দুঃখের কথা কহিও না। সংসারের দুঃখ ও ক্লেশের কথা শুনাইও না”। তাহার নিকট গিয়া বল—“সকলই মঙ্গল”। তিনি বলেন, “সত্যই আমি নিরাপদে আছি, এই দেখ, 34