পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । উৎপত্তি বালুক হইতে, বালুকায় আবার উহার পরিণাম ; নদী হয় বাষ্প হইতে, যায় আবার বাপে ; উদ্ভিদজীবন আসে বীজ হইতে, যায় আবার বীজে ; মানবজীবন আসে মনুষ্যজীবাণু হইতে, যায় আবার জীবাণুতে। নক্ষত্রপুঞ্জ, নদী, গ্রহ, উপগ্রহ নীহারময় অবস্ত হইতে আসিয়াছে, যায় আম্বার সেই নীহারময় অবস্থায় । ইহাতে আমরা শিখি কি ? শিথি এই যে, ব্যক্ত অর্থাৎ স্থল অবস্থ—কার্য, স্বল্পভাব—উহার কারণ সৰ্ব্বদর্শনের জনকস্বরূপ মহৰ্ষি কপিল অনেক দিন পূৰ্ব্বে প্রমাণ করিয়াছেন, নিশঃ কারণলয়ঃ। যদি এই টেবিলটির নাশ হয় ত, উহা কেবল উহার কারণ রূপে পুনরাবাৰ্ত্তত হইবে মাত্ৰ-সেই কুক্ষরূপও পরমাণুতে ফিরিয়া যাইবে, যাহাঁদের সম্মিলনে এই টেবিলনামক পদার্থটি উৎপন্ন হইয়াছিল। মানুষ যখন মরে, তখন, যে সকল ভূতে তাহার দেহ নির্মিত, তাহাতে তাহার পুনরাবৃত্তি হয়। এই পৃথিবীর ধ্বংস হইলে, যে ভূতসমষ্টি উহাকে এই আকার দিয়াছিল, তাহাতে পুনরাবৰ্ত্তন করিবে। ইহাকেই নাশ . বলে—কারণলয়। সুতরাং আমরা শিখিলাম, কাৰ্য্য কারণের সহিত অভেদ, ভিন্ন নহে, কারণটাই রূপবিশেষ ধারণ করিয়া কাৰ্য্যনামে পরিচিত হয়। যে উপাদানগুলিতে ঐ টেবিলের উৎপত্তি, তাহাই কারণ, আর টেবিলটা কাৰ্য্য, এবং ঐ কারণগুলিই এখানে টেবিলরুপে বর্তমান। এই গেলাসট একটী কাৰ্য্য—উহার কতকগুলি কারণ ছিল, সেই কারণগুলি এই কার্ঘ্যে এখনও বর্তমান দেখিতেছি। গেলাস নামক কতকটা জিনিষ আর তৎসঙ্গে গঠনকারীর হস্তস্থ শক্তি, এই দুইটা কারণ— নিমিত্ত ও উপাদান এই দুইটা কারণ-মিলিয়া গেলাস নামক এই , · · ̈ . >ዓo !