পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । আকারটা হইয়াছে। ঐ দুই কারণই বর্তমান। যে শক্তিটা কোন যন্ত্রের চাকায় ছিল, তাহ সংহতিশক্তিরূপে বর্তমান—তাহা না থাকিলে গেলাসের ঐ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডগুলি সব খসিয়া পড়িবে এবং ঐ গেলাস’রূপ উপাদানটাও বৰ্ত্তমান । গেলাসট কেবল ঐ স্থঙ্ক কারণগুলির আর এক রূপে পরিণতি এবং যদি এই গেলাসটী ভাঙ্গিয় ফেলা হয়, তবে যে শক্তিটা সংহতিরূপে উহাতে বর্তমান ছিল, তাহ ফিরিয়া পুনঃ নিজ উপাদানে মিশিবে, আর গেলাসের ক্ষুদ্র খণ্ডগুলি আবার পূর্বরূপ ধরিবে ও সেইরূপেই থাকিবে, যতদিন না পুনরায় নব রূপ ধরে । : অতএব আমরা পাইলাম, কাৰ্য্য কখন কারণ হইতে ভিন্ন নহে। উহা সেই কারণের পুনরাবির্ভাব মাত্র । তার পর আমরা শিখিলাম, এই ক্ষুদ্র বিশেষ বিশেষ রূপসকল, ঘাহাদিগকে আমরা উদ্ভিদ বা তিৰ্য্যগ জাতি বা মানব বলি,তাহারা অনস্তকাল ধরিয়া উঠিয়া পড়িয়া ঘুরিয়া ফিরিয়া আসিতেছে। বীজ হইতে বৃক্ষ হইল। বৃক্ষ আবার বীজ হয়, আবার উহা আর এক বৃক্ষ হয়—আবার অন্য বীজ হয়, আবার আর এক বৃক্ষ হয়—এইরূপ চলিতেছে, ইহার শেষ নাই। জলবিন্দু পাহাড়ের গা গড়াইয়া সমুদ্রে যায়, আবার বাষ্প হইয়া উঠে—পাহাড়ে যায়, আবার নদীতে ফিরিয়া আসে । উঠিতেছে, পড়িতেছে—যুগচক্ৰ চলিতেছে। সমুদয় জীবন সম্বন্ধেই এইরূপ— সমুদয় অস্তিত্ব, যাহা কিছু দেখিতে, ভাবিতে, শুনিতে বা কল্পনা করিতে পারি, যাহা কিছু আমাদের জ্ঞানের সীমার মধ্যে, তাহাই এইরূপে চলিতেছে—ঠিক যেমন মনুষ্যদেহে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস। সমুদয় স্বষ্টিই, সুতরাং, এইরূপে চলিয়াছে, একট তরঙ্গ উঠিতেছে, একটা s११ ।। ১R