পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । প্রকাণ্ডতম ব্ৰহ্মাণ্ড হইতে উহার অন্তৰ্ব্বত্তী প্রত্যেক পরমাণু পৰ্য্যস্ত, সব জিনিষই এই তরঙ্গাকারে চলিয়াছে। এক্ষণে আবার একটী গুরুতর প্রশ্ন আসিল—বিশেষতঃ বৰ্ত্তমান কালের পক্ষে। আমরা দেখিতেছি, স্বক্ষতর রূপগুলি ধীরে ধীরে: ব্যক্ত হইতেছে, ক্রমশঃ স্থলাং স্থলতর হইতেছে। আমরা দেখিয়াছি যে, কারণ ও কাৰ্য্য অভেদ—কাৰ্য্য কেবল কারণের রূপান্তরমাত্র। অতএব এই সমুদয় ব্রহ্মাণ্ড শূন্য হইতে প্রস্থত হইতে পারে না। কিছুই কারণ ব্যতীত আসিতে পারে না, শুধু তাহা নহে, কারণটাই কাৰ্য্যের ভিতর স্বক্ষরূপে বৰ্ত্তমান । তবে এই ব্ৰহ্মাও কোন বস্তু হইতে প্রস্থত হইয়াছে ? পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী স্বল্প ব্ৰহ্মাও হষ্টতে। মানুষ কোন বস্তু হইতে প্রস্থত? পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী স্বল্পরূপ তইতে। বৃক্ষ কাহা হইতে হইল ? বীজ হইতে। বৃক্ষট সমুদয়, বীজে বৰ্ত্তমান ছিল—উহা ব্যক্ত হইয়াছে মাত্র । অতএব এই জগদ্রব্রহ্মাও এই জগতেরই স্থম্মাবস্থা হইতে প্রস্থত হইয়াছে। এক্ষণে উহা ব্যক্ত হইয়াছে মাত্র । উহা পুনরায় ঐ সুক্ষরূপে যাইবে, আবার ব্যক্ত হইবে। এক্ষণে আমরা দেখিলাম, সূক্ষ্মরূপগুলি ব্যক্ত হইয়া স্থলাং স্থূলতর হয়, যতদিন না উহারা উহাদের চরমসীমায় পৌছে ; চরমে পৌছিলে, তাহারা আবার পালটিয়া স্বাক্ষাৎ স্বগ্নতর হয়। এই স্বন্ধ হইতে আবির্ভাব, ক্রমশঃ স্কুল হইতে স্থলতররূপে পরিণতি—কেবল যেন উহাদের অংশগুলির মবস্থান পরিবর্তন—ইহাকেই বর্তমান কালে ক্ৰমবিকাশবাদ বলে। ইহা অতি সত্য, সম্পূর্ণরূপে সত্য ; আমরা আমাদের জীবনে ইহা দেখিতেছি ; বিচারশীল কোন ব্যক্তিরই এই ‘ক্রমবিকাশ ➢ ማሕU