পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । বাদীদের সহিত বিবাদের সম্ভাবনা নাই। কিন্তু আমাদিগকে আরও একটী বিষয় জানিতে হইবে—তাহা এই যে, প্রত্যেক ক্রমবিকাশের পূৰ্ব্বেই একটী ক্রমসঙ্কোচ প্রক্রিয় বর্তমান। বীজ বৃক্ষের জনক বটে, কিন্তু অপর এক বৃক্ষ আবার ঐ বীজের জনক । বীজই সেই স্বস্বরূপ, যাহা হইতে বৃহৎ বৃক্ষট আসিয়াছে, আবার আর একট প্রকাও বৃক্ষ ঐ বীজরুপে ক্রমসঙ্কুচিত হইয়াছে। সমুদয় বৃক্ষটই ঐ বীজে বর্তমান। শূন্ত হইতে কোন বৃক্ষ জন্মিতে পারে না, কিন্তু আমরা দেখিতেছি, বৃক্ষ বীজ হইতেই উৎপন্ন হয়, আর বীজবিশেষ হইতে বৃক্ষবিশেষই উৎপন্ন হয়, অন্য বৃক্ষ হয় না। ইহাতেই প্রমাণিত হইতেছে যে, সেই বৃক্ষের কারণ ঐ বীজকেবল ঐ বীজ মাত্র ; আর সেই বীজে সমুদয় বৃক্ষটই রহিয়াছে। সমুদয় মানুষটাই ঐ এক জীবাণুর ভিতরে, ঐ জীবাণুই আবার ধীরে ধীরে অভিব্যক্ত হইয়া মানবাকারে পরিণত হয় । সমুদয় ব্রহ্মাণ্ডই- সূক্ষ্ম ব্ৰহ্মাণ্ডে রহিয়াছে। সবই কারণে, উহার স্বক্ষরূপে রহিয়াছে। অতএব ক্রমবিকাশ’ বাদ, স্থলাৎ স্থূলতররূপে ক্রমপ্রকাশ—এই মত সত্য। উহা সম্পূর্ণরূপে সত্য ; তবে ঐ সঙ্গে ইহাও বুঝিতে হইবে যে, প্রত্যেক ক্রমবিকাশের পূৰ্ব্বেই একটী ক্রমসঙ্কোচ প্রক্রিয়া রহিয়াছে ; অতএব যে ক্ষুদ্র অণুটী পরে মহাপুরুষ হইল, উহা প্রকৃতপক্ষে সেই মহাপুরুষেরই ক্রমসঙ্কুচিত ভাব, উহাই পরে মহাপুরুষরূপে ক্রমবিকাশ প্রাপ্ত হয়। যদি ইহাই সত্য হয়, তবে আমাদের ক্রমবিকাশবাদীদের সহিত কোন বিবাদ নাই, কারণ, আমরা ক্রমশঃ দেখিব, যদি তাহার এই ক্রমসঙ্কোচ প্রক্রিয়াট অঙ্গীকার করেন, Ybra